দিল্লি বিধানসভায় ১৪টি বকেয়া ক্যাগ রিপোর্ট উপস্থাপন

দিল্লি বিধানসভায় ১৪টি বকেয়া ক্যাগ রিপোর্ট উপস্থাপন
সর্বশেষ আপডেট: 25-02-2025

দিল্লি বিধানসভায় চলমান অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে, বিজেপি সরকার পূর্ববর্তী আপ সরকারের আমলে বকেয়া থাকা ১৪টি ক্যাগ রিপোর্ট উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই রিপোর্টগুলিতে আবকরী নীতি, মুখ্যমন্ত্রীর আবাস পুনর্নির্মাণ, যমুনা নদীর দূষণ, বায়ু দূষণ, জনস্বাস্থ্য, মৌলিক অবকাঠামো এবং দিল্লি পরিবহন নিগমের কার্যকলাপের পর্যালোচনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

নতুন দিল্লি: মঙ্গলবার, দিল্লি বিধানসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ১৪টি বকেয়া ক্যাগ (নিয়ন্ত্রক ও মহালেখাপরীক্ষক) রিপোর্ট উপস্থাপন করেছে। এই রিপোর্টগুলি ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২ সময়কালের এবং দিল্লি সরকারের বিভিন্ন বিভাগের হিসাব পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে তৈরি। উপ-রাজ্যপালের ভাষণের পরে এই রিপোর্টগুলি সদনে উপস্থাপন করা হয়। বিজেপি বিধায়করা এর আগে আপ সরকারের উপর এই রিপোর্টগুলি গোপন রাখার অভিযোগ আনেন এবং বিধানসভায় এগুলি উপস্থাপনের জন্য বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের দাবি জানান।

বিজেপির অভিযোগ: ইচ্ছাকৃতভাবে রিপোর্ট গোপন করা

বিজেপির দাবি, আপ সরকার সম্ভাব্য আর্থিক অনিয়ম লুকাতে এই রিপোর্টগুলি গোপন করে রেখেছিল। বিধানসভা নির্বাচনের সময় এই রিপোর্টগুলি প্রকাশের দাবি জোরালো হয়ে উঠেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ অনেক বিজেপি নেতা ক্ষমতায় আসার পর এই রিপোর্টগুলি প্রকাশ করার কথা বলেছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রীর আবাস পুনর্নির্মাণ নিয়ে বিতর্ক

রিপোর্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল মুখ্যমন্ত্রীর আবাসের সংস্কার, যা বিজেপি 'শীশমহল' বলে অভিহিত করেছে। প্রাথমিকভাবে ২০২০ সালে এই প্রকল্পের জন্য ৭.৬১ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছিল, কিন্তু ২০২২ সালের মধ্যে এর ব্যয় বেড়ে ৩৩.৬৬ কোটি টাকা হয়েছে, যা ৩৪২% বৃদ্ধি। বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়েই এই বিষয়ে কেজরিওয়াল সরকারকে ঘেরাও করে এবং জনসাধারণের অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ আনেন।

বিধানসভায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি

বিজেপি সরকার উপ-রাজ্যপালের ভাষণের পর এই রিপোর্টগুলি উপস্থাপনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। বিরোধী দলগুলির তীব্র প্রতিক্রিয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে, বিশেষ করে যখন রিপোর্টে অনেক আর্থিক ও প্রশাসনিক ত্রুটি উঠে এসেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই রিপোর্টগুলি প্রকাশিত হওয়ার পর দিল্লির রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে।

রিপোর্টে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে আপ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের সম্ভাবনা রয়েছে। বিরোধী দলগুলি এই তথ্য প্রকাশে কী অবস্থান নেয় এবং আপের প্রতিক্রিয়া কী হয় তা দেখার বিষয়।

Leave a comment