সোনিয়া গান্ধী সর গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি, অবস্থা স্থির

🎧 Listen in Audio
0:00

কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে পেটে ব্যথার অভিযোগে দিল্লির সর গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে তাঁর অবস্থা স্থির এবং তাঁকে শীঘ্রই ছাড়পত্র দেওয়া যেতে পারে।

Sonia Gandhi Health: দিল্লির সর গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি কংগ্রেসের প্রাক্তন অধ্যক্ষা সোনিয়া গান্ধীর শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো বলে জানানো হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মতে, তাঁর অবস্থা বর্তমানে স্থির এবং উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। রবিবার রাতে পেটের সমস্যার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এরপর থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

পেটের সমস্যার কারণে ভর্তি

জানা গেছে, সোনিয়া গান্ধী পেটে ব্যথা ও অস্বস্তির অভিযোগ করেছিলেন, যার ফলে রবিবার রাত ৯টায় তাঁকে সর গঙ্গারাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা তাঁকে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন। হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোইন্টেরোলজি সার্জারি বিভাগের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক ডাঃ এস. নন্দীর দল তাঁর চিকিৎসা করছে।

চিকিৎসা পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোনিয়া গান্ধীর এমআরআইসহ বেশ কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে যাতে তাঁর স্বাস্থ্যের স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়। চিকিৎসকরা ক্রমাগত তাঁর স্বাস্থ্যের পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তাঁকে প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

এমআরআই রিপোর্টের উপর নির্ভর করবে ছাড়পত্র

হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ অজয় স্বরূপের মতে, যদি সোনিয়া গান্ধীর এমআরআই রিপোর্ট স্বাভাবিক পাওয়া যায়, তাহলে তাঁকে মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া যেতে পারে। বর্তমানে তাঁর অবস্থার উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পরই নেওয়া হবে।

কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকেও নিশ্চিতকরণ

কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকেও এ কথা নিশ্চিত করা হয়েছে যে সোনিয়া গান্ধীর শারীরিক অবস্থা এখন স্থির এবং চিন্তার কোন কারণ নেই। দলের জ্যেষ্ঠ নেতারাও জনতার কাছে তাঁর শীঘ্র সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করার আবেদন জানিয়েছেন।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে কিছুদিনের বিরতি

স্বাস্থ্যগত কারণে সোনিয়া গান্ধী কিছুদিন ধরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় দলও তাঁর দায়িত্ব কমিয়ে দিয়েছে। তবে স্বাস্থ্যের উন্নতির পর তাঁর আবার সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a comment