সম্ভাল হিংসা: এসপি বিষ্ণোয়ী আজ কমিশনের সামনে হাজির

🎧 Listen in Audio
0:00

সম্ভাল হিংসা মামলায় SP বিষ্ণোয়ী আজ কমিশনের সামনে হাজির হবেন। লখনউতে দেবেন জবানবন্দী এবং পেশ করবেন হিংসা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। তদন্তে নতুন মোড় আসতে পারে।

সম্ভাল নিউজ: সম্ভাল জেলায় সংঘটিত হিংসাত্মক সংঘর্ষের তদন্তকারী জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি কমিশনের সামনে আজ সম্ভালের পুলিশ অধীক্ষক (SP) কৃষ্ণ বিষ্ণোয়ী হাজির হতে যাচ্ছেন। তিনি এই ঘটনা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ এবং তথ্য লখনউতে কমিশনের সামনে পেশ করবেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই হাজিরার সময় তিনি সম্পূর্ণ ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট এবং ভিজুয়াল প্রমাণও জমা দিতে পারেন।

কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছিল আনুষ্ঠানিক ডাক

জুডিশিয়াল ইনকোয়ারি কমিশন SP কে একটি ফর্মাল সামন জারি করে জবানবন্দী রেকর্ড করার জন্য ডেকেছিল। SP বিষ্ণোয়ী নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি ১১ এপ্রিল লখনউস্থিত কমিশন কার্যালয়ে হাজির হবেন এবং ঘটনা সংক্রান্ত সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভাগ করে নেবেন। এর আগে কমিশন বহু সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মী এবং সাধারণ নাগরিকের জবানবন্দী রেকর্ড করেছে।

কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

উত্তর প্রদেশ সরকার কর্তৃক গঠিত এই ইনকোয়ারি কমিশনের উদ্দেশ্য সম্ভাল হিংসার নিরপেক্ষ তদন্ত করা। এই কমিশনের অধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবেন্দ্র অরোরা, এবং সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাবেক DGP A.K. জৈন এবং সাবেক IAS কর্মকর্তা অমিত মোহন প্রসাদ। কমিশন সম্পূর্ণ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করছে যাতে প্রকৃত ঘটনা সামনে আসে।

কীভাবে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল?

হিংসার সূচনা ১৯ নভেম্বর হয় যখন হিন্দু পক্ষ চন্দৌসী আদালতে দাবি করে যে, সম্ভালের শাহী মসজিদ আগে একটি হরিহর মন্দির ছিল। আদালত Archaeological Survey of India (ASI) কে স্থানে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়। ২৪ নভেম্বর ASI-এর দল যখন দ্বিতীয়বার মসজিদে তদন্ত করতে যায়, তখন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

এই হিংসার সময় পাথর ছোড়া এবং গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে, যার ফলে চারজনের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করে যে, পুলিশের পক্ষ থেকেও গুলি চালানো হয়েছিল, যদিও পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ এখন পর্যন্ত এই মামলায় বহু সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে।

Leave a comment