দক্ষিণ থেকে উত্তর কাশ্মীর পর্যন্ত স্থানীয়রা পাহলগামে জঙ্গি হামলার নিন্দা জানিয়ে মশাল মিছিল বের করেছে। মসজিদ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, হামলাকারীরা ইসলাম ও কাশ্মীরিয়তার শত্রু।
জঙ্গি হামলা: পাহলগামে (Pahalgam) সংঘটিত জঙ্গি হামলার পর স্থানীয়রা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মশাল মিছিল বের করে হামলাকারীদের নিন্দা করেছে। দক্ষিণ থেকে উত্তর কাশ্মীর পর্যন্ত সর্বত্র মানুষ একাত্মতা প্রকাশ করে এই হামলাকে ইসলাম ও কাশ্মীরিয়তার বিরুদ্ধে বলে ঘোষণা করেছে। মসজিদের লাউডস্পিকার থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, হামলাকারীরা কাশ্মীরিয়তার শত্রু।
কাশ্মীর জুড়ে প্রতিবাদ ও একাত্মতা
মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, ইশার নামাজের পর, কাশ্মীরের প্রায় সকল মসজিদে লাউডস্পিকারের মাধ্যমে বৈসরণে সংঘটিত হামলার প্রতিবাদ করার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের কাছে কাশ্মীর বন্ধ সফল করার ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানানো হয়। এ সময় তারা বৈসরণ হামলার শিকারদের প্রতি সমবেদনা জানায়।
মশাল মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা "আমরা শান্তির পক্ষে" এবং "পর্যটকরা আমাদের অতিথি" স্লোগান নিয়ে মিছিল করে। এতে যুবক, দোকানদার, হোটেল মালিক এবং অন্যান্য স্থানীয় নাগরিকরা অংশগ্রহণ করে। এই মিছিল পুলওয়ামা, বাদগাম, শোপিয়ান, শ্রীনগর ছাড়াও উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা, বান্দিপোর ও কুপওয়ারাতেও বের করা হয়।
হামলায় এ পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু
পাহলগামের বৈসরণ এলাকায় জঙ্গি হামলায় ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। মঙ্গলবার পাঁচজন জঙ্গি রিসোর্টে ঢুকে একের পর এক পর্যটকদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। জঙ্গিরা প্রথমে পর্যটকদের নাম ও ধর্ম জিজ্ঞাসা করে এবং তারপর তাদের গুলি করে। হামলার পর জঙ্গিরা বনে পালিয়ে যায়।
সুরক্ষা কর্মকর্তাদের মতে, এই হামলা প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট স্থায়ী ছিল এবং কাশ্মীরের বৃহত্তম পর্যটন স্থলে এই হামলা চালানো হয়। হামলার পর সারা এলাকায় ভীতি ও অশান্তির পরিবেশ বিরাজ করছে।
সমাজের একাত্মতা ও শান্তির আহ্বান
এই হামলাগুলি কাশ্মীরের শান্তি ও কাশ্মীরিয়তার বিরুদ্ধে ছিল। স্থানীয়রা এবং মসজিদের ইমামরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সকলকে ইসলাম ও কাশ্মীরিয়তার শত্রুদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মানুষ কাশ্মীর বন্ধকে সমর্থন করেছে যাতে করে শিকার পরিবারদের প্রতি তাদের সমবেদনা প্রকাশ করতে পারে।
