বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ভারতের কাছে উভয় নেতার বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানিয়েছে।
নয়াদিল্লি: ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে ঘিরে একটি বড় ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আসন্ন BIMSTEC শীর্ষ সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মোহাম্মদ ইউনুসের মধ্যে সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে আলোচনা চলছে। এই তথ্য নিজেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর একটি সংসদীয় কমিটির বৈঠকে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ভারতের কাছে বৈঠকের অনুরোধ করেছে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের কাছে অনুরোধ করেছে যাতে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মোহাম্মদ ইউনুসের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের উদ্দেশ্য দুটি দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা। জয়শঙ্কর জানিয়েছেন ভারত এই অনুরোধ বিবেচনা করছে, তবে এখনো কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী মোদী ২ থেকে ৪ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া BIMSTEC শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে পারেন। তবে, বৈঠকে তিনি এই ভ্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।
BIMSTEC শক্তিশালী করার উপর জোর
বৈঠকে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার বিষয়টিও উঠে এসেছে। অনেক সংসদ সদস্য এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন এবং জিজ্ঞাসা করেছেন ভারত এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কী পদক্ষেপ নিচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন ঢাকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই হামলাগুলিকে "রাজনীতিপ্রসূত" বলে অভিহিত করেছে, কিন্তু ভারত এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে এবং যথাযথ কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিচ্ছে।
জয়শঙ্কর আরও স্পষ্ট করে বলেছেন পাকিস্তানের মনোভাবের কারণে সার্ক (SAARC) এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। ভারত এখন BIMSTEC (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন) কে আরও শক্তিশালী করার দিকে কাজ করছে।
মোদী-ইউনুস বৈঠক নিয়ে জয়শঙ্কর কী বলেছেন?
বৈঠকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মোহাম্মদ ইউনুস BIMSTEC শীর্ষ সম্মেলনের সময় দেখা করবেন কিনা? এর উত্তরে জয়শঙ্কর কোন সরাসরি উত্তর দেননি, তবে তিনি বলেছেন "এই বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।" বৈঠকে শুধু বাংলাদেশ নয়, মালদ্বীপ, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কার সাথে ভারতের সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কিছু সংসদ সদস্য ভারত-শ্রীলঙ্কার মাছ ধরার সমস্যা তুলে ধরেছেন, আবার কেউ কেউ মায়ানমার ও পাকিস্তান থেকে হওয়া মাদক ও অস্ত্রের চোরাচালান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
