মণিপুরে ৪২টির অধিক অবৈধ অস্ত্র জমা

🎧 Listen in Audio
0:00

মণিপুরে রাজ্যপালের চূড়ান্ত সতর্কবার্তার পর ৪২টিরও বেশি অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুনঃস্থাপনের প্রয়াস অব্যাহত, অমিত শাহ বৈঠক করেছেন।

মণিপুর: রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পর মণিপুরে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। রাজ্যপালের চূড়ান্ত সতর্কবার্তার পর মানুষ অবৈধ ও লুটপাটের অস্ত্র জমা করছে। এখন পর্যন্ত পাঁচটি জেলায় ৪২টিরও বেশি অস্ত্র জমা দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী বেশ কিছু অবৈধ আস্তানাও ধ্বংস করেছে।

পাঁচটি জেলায় জমা দেওয়া অস্ত্র

পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, ইম্ফাল পশ্চিম, ইম্ফাল পূর্ব, চুরাচান্দপুর, বিষ্ণুপুর ও তামেংলং জেলায় মানুষ অস্ত্র জমা দিয়েছে। বিষ্ণুপুর জেলায় দুটি পিস্তল, ছয়টি গ্রেনেড এবং ৭৫টিরও বেশি কার্তুসসহ পাঁচটি অগ্নিাস্ত্র জমা হয়েছে। অন্যদিকে, তামেংলং জেলার কাইমাই থানায় ১৭টি দেশীয় বন্দুক, ৯টি পোম্পি এবং কার্তুস জমা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ থানায়ও জমা হচ্ছে অস্ত্র

ইয়াইংগানপোকপি, পোরোমপাট, চুরাচান্দপুর ও লামসাং থানায়ও ১০টি অগ্নিাস্ত্র এবং কার্তুস জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, নিরাপত্তা বাহিনী কাংপোকপি জেলার মার্ক হিল এলাকায় দুটি এবং ওয়াকান পাহাড়ি এলাকায় তিনটি অবৈধ আস্তানা ধ্বংস করেছে।

বিপুল পরিমাণে অস্ত্র উদ্ধার

ইম্ফাল পশ্চিম জেলার সেরেমখুল এলাকায় তল্লাশী অভিযানের সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২০ রাউন্ড গোলাবারুদপূর্ণ একটি ম্যাগাজিন, একটি ইনসাস এলএমজি, একটি একে-৫৬ রাইফেল, তিনটি এসএলআর রাইফেল, একটি ৯এমএম কার্বাইন, একটি .৩০৩ রাইফেল, একটি ডিবিবিএল গান, ডেটোনেটার ছাড়া চারটি গ্রেনেড এবং একটি চাইনিজ হ্যান্ড গ্রেনেড।

৬ মার্চের মধ্যে অস্ত্র জমা দেওয়ার চূড়ান্ত সতর্কবার্তা

মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় কুমার ভল্লা ২০ ফেব্রুয়ারী হিংসায় জড়িত গোষ্ঠীগুলিকে সাত দিনের মধ্যে লুটপাট ও অবৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। জনসাধারণের দাবির পর এই সময়সীমা ৬ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। উপত্যকার জেলাগুলিতে এখন পর্যন্ত ৩০০টিরও বেশি অস্ত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পর পরিবর্তিত পরিস্থিতি

মণিপুরে ২০২৩ সালের মে মাসে মৈতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল, যাতে এখন পর্যন্ত ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাওয়ায় গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী এন. বীরেন সিংহ পদত্যাগ করেন। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারী রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। এখন প্রশাসন শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা পুনঃস্থাপনের চেষ্টা করছে।

Leave a comment