কেন্দ্র সরকার পরালি পোড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে জরিমানার পরিমাণ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন পরালি পোড়ানোর জন্য কৃষক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে আরও বেশি ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে। সরকার বিভিন্ন ধরণের জমির হিসেবে জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণ করেছে।
দিল্লি সংবাদ: দিল্লি-এনসিআরে দূষণের বর্ধিত মাত্রা বিবেচনা করে কেন্দ্র সরকার এখন পরালি পোড়ানোর জরিমানার পরিমাণ দ্বিগুণ করে দিয়েছে। এখন, যদি কৃষক পরালি পোড়ায়, তাহলে তাদের জমির আকারের উপর নির্ভর করে আরও বেশি জরিমানা দিতে হবে।
জরিমানার পরিমাণ বিবরণ
কেন্দ্র সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, যদি কোনও কৃষকের কাছে ২ একরের কম জমি থাকে, তাহলে তাকে ৫,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। ২ থেকে ৫ একর জমিযুক্ত কৃষকদের ১০,০০০ টাকা জরিমানা করতে হবে এবং ৫ একরের বেশি জমিযুক্ত কৃষকদের ৩০,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এই সিদ্ধান্ত বিশেষ করে দিল্লি এবং আশেপাশের এলাকায় প্রযোজ্য হবে।
সুপ্রিম কোর্টের ফটকার পর কেন্দ্রের কঠোর পদক্ষেপ
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট পরালি পোড়ানোর বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলিকে ফটকার দিয়েছিল। কোর্ট রাজ্য সরকারগুলিকে জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে পরালি পোড়ানো বন্ধ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরই কেন্দ্র সরকার জরিমানার পরিমাণ দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত জাতীয় রাজধানী অঞ্চল ও আশেপাশের রাজ্যগুলির জন্য ২০২১ সালের বায়ুমান পরিচালনা আয়োগ আইনের অধীনে নেওয়া হয়েছে।
দিল্লিতে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি
দিল্লিতে বর্তমানে দূষণের অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। রাজধানীর অনেক এলাকায় বায়ুমান সূচক (AQI) ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে, যা ‘অত্যন্ত খারাপ’ শ্রেণীভুক্ত। আলিপুরে AQI ৩৮৬, আনন্দ বিহারে ৪২৬ এবং বোয়ানায় ৪১১ রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও, আগামী দিনগুলিতে দূষণের মাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলতে পারে।
দূষণ ও পরালি পোড়ানোর সমস্যা
প্রতি বছর শীতের শুরুতেই দিল্লি ও আশেপাশের এলাকায় দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। এর একটি বড় কারণ হল পরালি পোড়ানো, যা পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে সাধারণ ঘটনা। এই রাজ্যগুলিতে প্রতি বছর ফসল কাটার পর কৃষকরা পরালি পোড়ায়, যার ফলে ধোঁয়া ও দূষণকারী উপাদান বায়ুতে মিশে বায়ুমানকে প্রভাবিত করে।