দূরসংযোগ বিভাগের নির্দেশে এয়ারটেল, জিও, BSNL এবং Vi জরুরি প্রোটোকল কার্যকর করেছে, যাতে সীমান্ত এলাকার ব্যবহারকারীরা ক্রমাগত এবং উন্নত সংযোগ পেতে পারেন।
ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতের প্রধান টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান এয়ারটেল, জিও, BSNL এবং Vi জরুরি প্রোটোকল কার্যকর করেছে। এই পদক্ষেপ মূলত সীমান্ত এলাকায় কোনও বাধা ছাড়াই টেলিযোগাযোগ সংযোগ নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলি রাজ্য এবং জেলা স্তরে জরুরি অপারেশন সেন্টার (EOCs)ও সক্রিয় করেছে, যাতে এই সংকটকালে নাগরিকদের কোনও অসুবিধা না হয়।
জরুরি প্রোটোকলের উদ্দেশ্য
ভারত সরকার সম্প্রতি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ অপারেটরদের জরুরি অবস্থায় তাদের বেস ট্রান্সিভার স্টেশন (BTS) অব্যাহতভাবে চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষ করে, এই নির্দেশের উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১০০ কিলোমিটারের ব্যাসার্ধে সংযোগ স্থিতিশীল রাখা, যাতে মানুষের কোনও জরুরি অবস্থায় কোনও অসুবিধা না হয়। এই নির্দেশাবলীর আওতায় এটাও দেখা হয়েছে যাতে নেটওয়ার্কে কোনও বাধা না আসে, যাতে মানুষ সহজে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং তাদের প্রয়োজনীয় সেবা অব্যাহত থাকে।
৭ মে প্রকাশিত এই নির্দেশে টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলিকে একে অপরের সাথে মিলে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রতিষ্ঠানগুলি পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক পরিচালনার নিশ্চয়তা দেবে এবং কোনও জরুরি অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে। পাশাপাশি, অবকাঠামো এবং প্রতিষ্ঠানগুলির একটি আপডেটেড তালিকা তৈরি করার জন্যও বলা হয়েছে, যাতে তাদের সুরক্ষা এবং ক্রমাগত কার্যকারিতা নিশ্চিত করা যায়। এই পদক্ষেপ সমগ্র প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী এবং কার্যকর করার জন্য নেওয়া হয়েছে।
ইন্ট্রা-সার্কেল রোমিংয়ের গুরুত্ব
জরুরি প্রোটোকলের আওতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল ইন্ট্রা-সার্কেল রোমিং (ICT) সক্রিয় করা। এই সেবা বিশেষ করে তখন কাজে লাগে যখন জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়। ইন্ট্রা-সার্কেল রোমিংয়ের সাহায্যে যদি কোনও ব্যক্তি তার হোম নেটওয়ার্কের বাইরে থাকে এবং নেটওয়ার্ক কাজ না করে, তাহলে সে অন্য কোনও টেলিযোগাযোগ অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারে। এর মূল সুবিধা হল, আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, আপনি সবসময় আপনার নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত থাকতে পারবেন এবং কোনও জরুরি অবস্থায় যোগাযোগে থাকতে পারবেন। এই সুবিধা নেটওয়ার্কের ব্যাঘাতের সময় ক্রমাগত সংযোগ নিশ্চিত করে।
ডিজেল রিজার্ভের ব্যবস্থা
টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারা তাদের বেস ট্রান্সিভার স্টেশন (BTS) কে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য যথেষ্ট ডিজেল রিজার্ভ রাখবে। এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাতে যদি বিদ্যুতের সরবরাহে কোনও সমস্যা হয়, তাহলে ডিজেল জেনারেটরের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক চালু রাখা যায়। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে এটা নিশ্চিত হয় যে নেটওয়ার্ক ক্রমাগত কাজ করবে, বিদ্যুতের অবস্থা যাই হোক না কেন। বিশেষ করে জরুরি পরিস্থিতিতে এই সুবিধা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি কোনও বাধা ছাড়াই সেবা প্রদান করে এবং মানুষকে ক্রমাগত সংযোগ দেয়।
সরকার ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়
ভারত সরকার এবং প্রধান টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান, যেমন এয়ারটেল, জিও, BSNL এবং Vi-এর মধ্যে এই সহযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সরকার স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে সীমান্ত এলাকায় সংযোগ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি, যাতে কোনও সংকট বা জরুরি অবস্থায় মানুষ দ্রুত একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এই প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের সেবা উন্নত করার জন্য সমন্বয় করেছে এবং নিশ্চিত করেছে যে নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণরূপে কাজ করবে। এর ফলে মানুষ কোনও বাধা ছাড়াই জরুরি সেবা ব্যবহার করতে পারবে এবং সংযোগে কোনও বাধা আসবে না।
সুরক্ষার ব্যবস্থা
টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের নেটওয়ার্ক কাঠামোর সুরক্ষার দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এর অধীনে, প্রতিষ্ঠানগুলিকে তাদের সরঞ্জামের সুরক্ষার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। এর জন্য অবকাঠামোর একটি আপডেটেড তালিকা তৈরি করা হবে, যা নিশ্চিত করবে যে সংকটকালে এই সরঞ্জামগুলির সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা বজায় থাকবে। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবাগুলির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে, যাতে ব্যবহারকারীরা কোনও বাধা ছাড়াই সংযোগের সুবিধা পেতে পারে, বিশেষ করে জরুরি অবস্থায়।