পহলগাম সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতীয় সেনা কাশ্মীরে তীব্র অভিযান চালিয়েছে। গত ৫০ ঘণ্টায় জৈশ-এ-মোহাম্মদ এবং লস্করের ৬ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। পাকিস্তান-পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরেও ১০০-এরও বেশি সন্ত্রাসী নির্মূল করা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীর: পহলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতীয় সেনা পুরোদমে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ২২শে এপ্রিল সংঘটিত এই রক্তক্ষয়ী হামলার পর থেকে সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে সন্ত্রাসীদের ধরপাকড় তীব্র করেছে। গত ৫০ ঘণ্টায় ৬ জন স্থানীয় সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে জৈশ-এ-মোহাম্মদ এবং লস্কর-এ-তৈয়বার সদস্যরা রয়েছে। এছাড়াও, পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সেনা সুনির্দিষ্ট ও কঠোর অভিযান চালিয়ে ১০০-এরও বেশি সন্ত্রাসীকে নির্মূল করেছে।
ত্রাল এবং শোপিয়ানে সন্ত্রাসী নিধন
সম্প্রতি ত্রাল জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী তিনজন সন্ত্রাসীকে নিহত করেছে। এরা সকলেই জৈশ-এ-মোহাম্মদের সাথে যুক্ত ছিল। ত্রালে সংঘটিত এই সংঘর্ষে ইয়াবার আহমদ, আমির নাজির এবং আসিফের মতো বিপজ্জনক সন্ত্রাসীরা নিহত হয়েছে। সুরক্ষা সংস্থাগুলি দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরুদ্ধে তথ্য পেয়েছিল।
এইভাবেই শোপিয়ানে সংঘটিত সংঘর্ষে আরও তিনজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে লস্কর-এ-তৈয়বার অপারেশন কমান্ডার শাহিদ কুট্টেও রয়েছে। কুট্টে কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসীদের নিয়োগের দায়িত্বে ছিলেন এবং অনেক তরুণকে লস্কর-এ-তৈয়বায় যোগদান করার জন্য প্রলোভিত করতেন। এই সংঘর্ষে আদনান শফি এবং এহসান উল হক শেখও নিহত হয়েছে। সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
অপারেশন সিন্দুর: পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে তীব্র প্রতিরোধ
পহলগাম হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ভারতীয় সেনা ৬-৭ মে রাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে অপারেশন সিন্দুর চালিয়েছে। এই অভিযানে সেনা ৯টি ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ১০০-এরও বেশি সন্ত্রাসীকে নিহত করেছে। বিশেষ করে, জৈশের প্রধান মাসুদ আজহরের পুরো পরিবার এই কার্যক্রমে নিহত হয়েছে, যার মধ্যে মোট ১০ জন রয়েছে।
এই অভিযানের পর পাকিস্তান সেনা উত্তেজিত হয়ে ড্রোন ব্যবহার করে সীমান্তে বারবার হামলা চালিয়েছে, কিন্তু ভারতের প্রস্তুতি ও প্রতিরোধের কারণে তাদের সকল চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। ভারত পাকিস্তানি ঘাঁটিগুলির সাথে সাথে অনেকগুলি বিমান ঘাঁটিকেও লক্ষ্য করে ধ্বংস করেছে।
সেনার অভিযান অব্যাহত, সন্ত্রাসবাদে নিয়ন্ত্রণ
ভারতীয় সেনা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান অব্যাহত রেখেছে। কাশ্মীরে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধেও সুনির্দিষ্ট অভিযান চলছে, যার ফলে সন্ত্রাসবাদের মূল কমজোর হচ্ছে। সেনার স্পষ্ট বার্তা হল, তারা যাই হোক না কেন দেশের সুরক্ষাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে না।