হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সাথে আর্থিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা

🎧 Listen in Audio
0:00

হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী निर्মলা সীতারমণের সাথে সাক্ষাত করে রাজ্যের আর্থিক স্বার্থ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। তিনি রাজ্যের ঋণ সীমা অপরিবর্তিত রাখা, জিএসটি ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং দুর্যোগ ত্রাণ তহবিলের দাবি জানিয়েছেন।

নয়াদিল্লি: হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু দিল্লিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী निर्মলা সীতারমণের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন, যেখানে রাজ্যের আর্থিক স্বার্থ নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী হিমাচল প্রদেশের ঋণ সীমা অপরিবর্তিত রাখা, বন্ধ হয়ে যাওয়া জিএসটি ক্ষতিপূরণ পুনরায় শুরু করা, দুর্যোগ ত্রাণ তহবিলের দাবি এবং রাজ্যের উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দের উপর জোর দিয়েছেন।

দিল্লি সফরের প্রথম দিনে মুখ্যমন্ত্রী সুখু নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করে হিমাচল প্রদেশের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে তার মতামত তুলে ধরেছেন। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে তিনি রাজ্যের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সংস্থানের উপলব্ধতা নিয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

ঋণ সীমা অপরিবর্তিত রাখার দাবি

মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে হিমাচল প্রদেশের ঋণ সীমা পূর্বের মতোই রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, পূর্ববর্তী বিজেপি সরকারের আমলে রাজ্যের বার্ষিক ঋণ সীমা ১০,০০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা এখন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে রাজ্যের উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং বড় প্রকল্পগুলির উপর প্রভাব পড়ছে। সুখু বলেছেন, ঋণ সীমা বৃদ্ধি হিমাচল প্রদেশের সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়, যাতে রাজ্য নতুন প্রকল্পগুলিকে গতি দিতে পারে।

জিএসটি ক্ষতিপূরণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ত্রাণ নিয়ে আলোচনা

বৈঠকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ বন্ধ হওয়ার ফলে হিমাচল প্রদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ২০২২ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া জিএসটি ক্ষতিপূরণের অর্থ রাজ্যের বাজেটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, এবং এর বন্ধ হওয়ার ফলে অনেক উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হয়েছে। পাশাপাশি, তিনি দুর্যোগ ত্রাণ তহবিলের দাবিও করেছেন, যা গতকালের প্রাকৃতিক দুর্যোগে হওয়া ক্ষতির ক্ষতিপূরণের জন্য প্রয়োজনীয়। তিনি অলকান দুর্যোগের পর ৯,২০০ কোটি টাকা দ্রুত মুক্তির আবেদন করেছেন, যাতে রাজ্যের পুনর্নির্মাণ কাজে গতি আসে।

বাজেট বরাদ্দের উপর জোর

মুখ্যমন্ত্রী সুখু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে হিমাচল প্রদেশের জন্য বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির আবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন যে, রাজ্যে রাজস্ব ঘাটতি অনুদানের অর্থ কমে মাত্র ৩,২৫৭ কোটি টাকা হয়েছে, যা উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট নয়। এই ঘাটতির ফলে রাজ্যের সামাজিক-অর্থনৈতিক পরিকল্পনার উপর প্রতিকূল প্রভাব পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কেন্দ্রের অধিক সহযোগিতা এবং আর্থিক সহায়তা পাওয়ার ফলে হিমাচল প্রদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী হবে এবং রাজ্যের জনগণ আরও ভালো সেবা পেতে পারবে।

এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা রাম সুভাগ সিংও উপস্থিত ছিলেন, যিনি আর্থিক বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থন করেছেন। উভয়ে মিলে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের স্বার্থে উন্নত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

Leave a comment