বিএসএফ জওয়ানের ২০ দিন পর দেশে ফিরে আসা

🎧 Listen in Audio
0:00

বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমার ভুলবশতঃ পাকিস্তান সীমান্তে চলে গিয়েছিলেন। ২০ দিন পর পাক রেঞ্জার্স তাঁকে আটারি সীমান্তে ভারতের কাছে হস্তান্তর করে। বর্তমানে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

বিএসএফ কনস্টেবল সংবাদ: বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম কুমারের দেশে ফিরে আসা অবশেষে সম্ভব হয়েছে। পাকিস্তান প্রায় ২০ দিন পর তাঁকে ভারতে ফেরত পাঠিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০:৩০ টায় আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে পাকিস্তানি রেঞ্জার্স পূর্ণম কুমারকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করে। এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে বেড়ে যাওয়া উত্তেজনার মধ্যে মানবতার এক ঝলক দেখিয়েছে।

কিভাবে পাকিস্তানে পৌঁছে গিয়েছিলেন পূর্ণম কুমার?

পূর্ণম কুমার পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেক্টরে কর্মরত ছিলেন। গশ্তকালীন তিনি ভুলবশতঃ আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন। এরপর পাকিস্তান রেঞ্জার্স তাঁকে আটক করে। এই ঘটনার সময় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অপারেশন সিন্দুরের কারণে পরিস্থিতি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ ছিল।

ভারত ৭ই মে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে নির্ভুল আঘাত হানে, যার জবাবে পাকিস্তানও প্রত্যুত্তর দেয়। এই সময় পূর্ণম কুমারের পরিবারের উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়।

পরিবারের আশা ও সংগ্রাম

পূর্ণম কুমারের স্ত্রী রাজনী ক্রমাগত তাঁর স্বর উঠিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন যে ভারত সরকার এই বিষয়টি DGMO স্তরের আলোচনায় তুলবে। রাজনী জানিয়েছেন, যখন ভারতীয় সেনা রাজস্থানে একজন পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করেছিল, তখন তিনি তাঁর স্বামীর ফিরে আসার আশা পেয়েছিলেন।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজনীকে ফোন করে সর্বাত্মক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকদের স্বাস্থ্য সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছিলেন।

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বর্ধমান উত্তেজনা

২২শে এপ্রিল ২০২৫-এ পালগমে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়, যেখানে পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসবাদীরা নিরীহ নাগরিকদের উপর হামলা চালায়। এই হামলাকে ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এর প্রতিশোধে ভারত ৭ই মে অপারেশন সিন্দুর চালায়, যেখানে ভারতীয় সেনা, বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনী মিলে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK)-এ সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি ধ্বংস করে।

পাকিস্তানের প্রত্যুত্তর হামলা

অপারেশন সিন্দুরের পর পাকিস্তান ৭-৮ই মে রাতে ভারতের শ্রীনগর, পাঠানকোট, অমৃতসর ইত্যাদি ১৫টি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই সকল হামলা ব্যর্থ হয়।

ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপ এবং অ্যাডভান্সড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে পাকিস্তানের বিমান হামলাকে সমুদ্রেই থামিয়ে দেয়। এর ফলে স্পষ্ট বার্তা যায় যে ভারত নিজের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপোষ করবে না।

Leave a comment