বিহারে মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস দুই ভাগে বিভক্ত। অখিলেশ সিংহ তেজস্বী যাদবকে সমর্থন করেছেন, পাশাপাশি দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির উপরও আক্রমণ করেছেন। বিজেপি পাল্টা আক্রমণ করেছে।
Bihar Politics: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে মহাজোটে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীকে কেন্দ্র করে বিতর্ক বাড়ছে। কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং রাজ্যসভা সদস্য অখিলেশ সিংহ তেজস্বী যাদবকে মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে তেজস্বীই মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রার্থী এবং এ ব্যাপারে কারও কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়।
তিনি ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, সে সময়ও তেজস্বী মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী ছিলেন এবং এবারও তিনিই বিরোধী দলনেতা হিসেবে এই পদের দাবিদার।
অখিলেশ সিংহের জোরালো পাল্টা আক্রমণ
অখিলেশ সিংহ দলের কিছু নেতার দেওয়া বক্তব্যের উপরও তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এবং বলেছেন যে কিছু বক্তৃতাপ্রিয় ব্যক্তির বক্তব্য দেওয়ার অভ্যাস হয়ে গেছে, যা দলের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তিনি বলেছেন যে কংগ্রেস বিহার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বের সাথে চিন্তাভাবনা করছে এবং এবার দল বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে।
অখিলেশ সিংহের প্রতিক্রিয়া
কংগ্রেসের বিহার প্রভারী কৃষ্ণা আল্লারু বলেন যে মহাজোটের সিএম প্রার্থী মহাজোটের বৈঠকে ঠিক হবে এবং তেজস্বীকে গ্রহণ করা হচ্ছে না, এ ব্যাপারে অখিলেশ সিংহ তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন যে যাদের রাজনীতির বোধ নেই, তারাই এ ধরনের কথা বলতে পারে। অখিলেশ সিংহ তেজস্বীর মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছেন এবং বলেছেন যে এই ব্যাপারে কোনও ধরণের সন্দেহ থাকা উচিত নয়।
মহাজোটে নির্বাচন লড়াইয়ের পরামর্শ কংগ্রেসকে
অখিলেশ সিংহ এও বলেছেন যে কংগ্রেসকে মহাজোটেই নির্বাচন লড়াই করা উচিত, কারণ একা নির্বাচন লড়াই করা দলের জন্য আত্মঘাতী পদক্ষেপ হতে পারে। তিনি এও বলেছেন যে বিজেপির বিহারে একা নির্বাচন লড়াই করার ক্ষমতা নেই এবং তারা নীতীশ কুমার, উপেন্দ্র কুশওয়া, জিতান রাম মাঁঝি এবং চিরাগ পাসওয়ানের মতো নেতাদের সাথে গঠবন্ধন করে নির্বাচনী কৌশল তৈরি করছে।
বিজেপির প্রতিক্রিয়ায় অখিলেশ সিংহের জোরালো পাল্টা আক্রমণ
অখিলেশ সিংহের বক্তব্যের উপর বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র অজয় আলোক তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন যে কংগ্রেসের বিহারে একা মাত্র ৫টি আসনে নির্বাচন লড়াই করার ক্ষমতা আছে এবং তাদের মহাজোটেই থেকে নির্বাচন লড়াই করতে হবে। তিনি বলেছেন যে মহাজোটকে সিএম প্রার্থীকে কেন্দ্র করে বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং প্রথমে আসন জয় করতে হবে, তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করা যাবে।