অন্নামালাইয়ের ভবিষ্যৎ ভূমিকা নিয়ে বিজেপিতে তীব্র আলোচনা

অন্নামালাইয়ের ভবিষ্যৎ ভূমিকা নিয়ে বিজেপিতে তীব্র আলোচনা
সর্বশেষ আপডেট: 12-04-2025

তামিলনাড়ুর বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি কে. অন্নামালাইকে ঘিরে এখন রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনা চলছে। সম্প্রতি তাঁর দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এখন ধারণা করা হচ্ছে যে, তাঁকে ভারতীয় জনতা পার্টির সংগঠনে একটি বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

AIADMK-BJP: ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র মধ্যে আবারও সংগঠনগত পরিবর্তনের আভাস তীব্র হয়ে উঠেছে। এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন তামিলনাড়ু বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি এবং প্রাক্তন আইপিএস অফিসার কে. অন্নামালাই। সূত্রের খবর, দল তাঁকে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা (BJYM)-র নতুন জাতীয় সভাপতি করে তুলতে পারে। এই পদটি বর্তমানে বেঙ্গালুরু সাউথ থেকে সাংসদ তেজস্বী সূর্যের কাছে রয়েছে, কিন্তু এখন অন্নামালাইকে এই দায়িত্ব দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি মনে করা হচ্ছে।

তেজস্বী সূর্যের জায়গা নিতে পারেন অন্নামালাই?

তেজস্বী সূর্যের নেতৃত্বে BJYM গত কয়েক বছরে অনেক উদ্যমী অভিযান পরিচালনা করেছে, কিন্তু দল এখন যুব মোর্চায় নতুন চিন্তাধারা এবং আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্ব নিয়ে পরিবর্তন চায়। দক্ষিণ ভারত থেকে আসা অন্নামালাইকে এই দায়িত্ব দেওয়া এই রণনীতির অংশ হতে পারে। তামিলনাড়ুতে দলের সম্প্রসারণ এবং ভোটের হার বৃদ্ধির পর তাঁকে জাতীয় ভূমিকায় আনার আলোচনা তীব্র হয়ে উঠেছে।

অমিত শাহের প্রশংসা পরিবর্তনের বড় ভূমিকা

গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ অন্নামালাইয়ের ইস্তফার অব্যবহিত পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রকাশ্যে প্রশংসা করেছেন। শাহ লিখেছেন, অন্নামালাই তামিলনাড়ুতে দলকে শক্তিশালী করতে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন এবং সংগঠনমূলক দক্ষতার জন্য তাঁকে জাতীয় পর্যায়ে দায়িত্ব দেওয়া হবে। এই বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, দল তাঁকে এভাবে ছেড়ে দেবে না, বরং বড় ভূমিকার প্রস্তুতি করছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর 'সৈনিক' অন্নামালাই

অন্নামালাই ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি রাজনীতিতে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দর্শনের জন্য এসেছেন। তাঁর মতে, মোদী যে দায়িত্বই দিক না কেন, তিনি তা পুরোপুরি নিষ্ঠার সাথে পালন করবেন। এই সমর্পণ তাঁকে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিশ্বস্ত মুখ করে তুলেছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অন্নামালাইয়ের নেতৃত্বে বিজেপি যদিও আসন জিততে পারেনি, কিন্তু দলের ভোটের হার বেড়ে ১১% এ পৌঁছেছে, যা ২০19 সালের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।

তাঁর রাজ্যব্যাপী পদযাত্রা কর্মীদের সক্রিয় করেছে এবং বিজেপির জন্য নতুন ভোটার ভিত্তি তৈরি করেছে। কোয়েম্বাতুর আসন থেকে তিনি হেরে গেলেও, তাঁর পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী।

বীরেন্দ্র সচদেবাকেও নতুন ভূমিকা পেতে পারেন

দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবার নাম নিয়েও জাতীয় সংগঠনে পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে আলোচনা হচ্ছে। একজন জ্যেষ্ঠ নেতার মতে, তাঁকেও দলের হাইকমান্ড জাতীয় দলে স্থান দিয়ে নতুন দায়িত্ব দিতে পারে। দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির পারফরম্যান্স এবং সংগঠন গঠনে তাঁর অবদান গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিজেপি এখন সংগঠনে যুব এবং উদ্যমী মুখগুলিকে সামনে আনার চেষ্টা করছে। অন্নামালাই এবং সচদেবা-র মতো নেতারা এই রণনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। দল এই নেতাদের আঞ্চলিক প্রভাব, সংগঠনমূলক দক্ষতা এবং নেতৃত্বের ক্ষমতা বিবেচনা করে তাঁদের নতুন দায়িত্ব দিতে পারে।

Leave a comment