বিহারের বিধায়কের ‘চুম্বন’ মন্তব্য: বিতর্কের সৃষ্টি

🎧 Listen in Audio
0:00

বিহারের জেডিইউ বিধায়ক গোপাল মণ্ডল আবারও তাঁর বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য শিরোনামে উঠে এসেছেন। হোলি মিলন অনুষ্ঠানের সময় মঞ্চ থেকে ‘চুম্বন’ নিয়ে করা মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তাঁর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে, যদিও বিধায়ক এটিকে “ভুল বোঝাবুঝি” বলে দাবি করছেন।

ভাগলপুর: জেডিইউ বিধায়ক গোপাল মণ্ডল তাঁর “চুম্বন” বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আবারও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। হোলি মিলন অনুষ্ঠানে দেওয়া এই বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রাজনৈতিক হইচই শুরু হয়েছে। বিরোধী দল ও নারী সংগঠনগুলি তাঁর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে। গোপাল মণ্ডল তাঁর স্পষ্টীকরণে বলেছেন যে তাঁর কথাটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং তাঁর কোনও ভুল উদ্দেশ্য ছিল না, বিশেষ করে যখন তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে, বিরোধীরা এই বিষয়ে জেডিইউ নেতৃত্বের কাছে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

সম্পূর্ণ ঘটনা কী?

১০ই মার্চ নবগছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভোজপুরি গায়ক ছৈলা বিহারীও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সময় বিধায়ক মঞ্চে নাচ করছিলেন, তখন তিনি একজন মহিলা শিল্পীকে ৫০০ টাকা দিয়ে মজার ছলে বলেছিলেন, “৬২ বছর বয়স, আমরা কী চুম্বন নিতে পারি?” বক্তব্যের ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হয়, এরপর তাঁর ভাষা ও আচরণ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

গোপাল মণ্ডলের স্পষ্টীকরণ – “ভুলভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে”

বিতর্ক বাড়ার পর গোপাল মণ্ডল তাঁর স্পষ্টীকরণ দিয়ে বলেছেন যে তাঁর কথার ভুল অর্থ বোঝা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, “আমি কোনও অশ্লীল কথা বলিনি। আমার স্ত্রী ও সন্তানরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এমন অবস্থায় কোনও ভুল কাজের প্রশ্নই ওঠে না।” এছাড়াও তিনি বলেছেন, “যদি কেউ কোনও পুরষ্কার জিতে আসে, তাহলে তাকে উৎসাহিত করার জন্য এমনটা করা ভুল নয়।”

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের আক্রমণ

বিধায়কের এই বক্তব্যে রাজনৈতিক দল ও নারী সংগঠনগুলি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বিরোধীরা জেডিইউ নেতৃত্বের কাছে দাবি করেছে যে গোপাল মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এটি প্রথমবার নয় যখন গোপাল মণ্ডল তাঁর বক্তব্যের জন্য বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এর আগেও তিনি অশোভনীয় ভাষা ও উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য শিরোনামে ছিলেন।

এখন বড় প্রশ্ন হল, জেডিইউ কি তাঁদের বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে, নাকি এই ঘটনাও সময়ের সাথে সাথে ঠান্ডা হয়ে যাবে? এখনও পর্যন্ত, দলের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবে আভ্যন্তরীণভাবে এই ব্যাপারে আলোচনা তীব্র হয়ে উঠেছে।

Leave a comment