ভারতে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি: ৪৩০০ ছাড়িয়ে সক্রিয় কেস

🎧 Listen in Audio
0:00

ভারতে করোনাভাইরাসের সক্রিয় সংক্রমণের সংখ্যা ৪৩০০ ছাড়িয়ে গেছে। ২৪ ঘন্টায় ২৭৬টি নতুন কেস শনাক্ত হয়েছে। কেরাল, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে। পরিস্থিতির উপর নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

করোনা: দেশে করোনাভাইরাসের সক্রিয় সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভারতে করোনার সক্রিয় কেস ৪৩০০-এর উপরে পৌঁছেছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশজুড়ে ২৭৬টি নতুন কোভিড সক্রিয় কেস রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যদিকে, করোনায় এখন পর্যন্ত মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে করোনার সবচেয়ে বেশি কেস কেরালে পাওয়া যাচ্ছে।

করোনার বর্ধমান সক্রিয় কেস: পরিস্থিতি গুরুতর

ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন নতুন সক্রিয় কেস বেড়েই চলেছে, যার ফলে স্বাস্থ্য বিভাগ এবং প্রশাসন সতর্ক হয়ে উঠেছে। গত দিন, অর্থাৎ ৩ জুন দেশে করোনার সক্রিয় কেস প্রায় ৪০০০ ছিল, যা এখন ৪,৩০২ হয়েছে। এই বৃদ্ধি উদ্বেগের বিষয়, কারণ এটি স্পষ্ট করে যে কোভিড সংক্রমণের গতি এখনও ধীর হয়নি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৪ জুন সকাল ৮ টা পর্যন্ত দেশে করোনার মোট ৪,৩০২ টি সক্রিয় কেস ছিল। এই কেসের বৃদ্ধি থেকে বোঝা যায় যে করোনার হুমকি এখনও সম্পূর্ণভাবে দূর হয়নি এবং এ ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন।

কোন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় কেস?

দেশের বিভিন্ন রাজ্যে করোনার পরিস্থিতি আলাদা। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় মোট ২৭৬টি নতুন সক্রিয় কেস পাওয়া গেছে, যার মধ্যে অধিকাংশ নিম্নলিখিত রাজ্যগুলি থেকে:

  • দিল্লি এবং গুজরাট — ৬৪-৬৪ টি নতুন কেস
  • উত্তরপ্রদেশ — ৬৩ টি নতুন কেস
  • পশ্চিমবঙ্গ — ৬০ টি নতুন কেস

যদি মোট সক্রিয় কেসের কথা বলি, তাহলে কেরাল এখনও দেশের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত রাজ্য, যেখানে ১,৩৭৩ টি সক্রিয় কেস রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর মহারাষ্ট্র দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যেখানে ৫১০ টি সক্রিয় কেস রয়েছে। গুজরাটে ৪৬১, দিল্লিতে ৪৫৭ এবং পশ্চিমবঙ্গে ৪৩২ টি সক্রিয় কেস রেকর্ড করা হয়েছে।

এই তথ্য থেকে বোঝা যায় যে কিছু রাজ্যে করোনার হুমকি বেশি, তাই সেখানে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

করোনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু

করোনা সংক্রমণে ভারতে এখন পর্যন্ত মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে:

  • তামিলনাড়ুতে ১ জনের মৃত্যু
  • দিল্লিতে ১ জনের মৃত্যু
  • গুজরাটে ১ জনের মৃত্যু
  • মহারাষ্ট্রে ৪ জনের মৃত্যু

বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি, যা থেকে স্পষ্ট যে সেখানে সংক্রমণের কারণে এখনও ঝুঁকি রয়েছে।

করোনা থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা

করোনার বর্ধমান সংক্রমণের মধ্যে সকল নাগরিককে নিজের সুরক্ষার জন্য সতর্ক থাকতে হবে। কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যা প্রত্যেক ব্যক্তিকে গ্রহণ করা উচিত, সেগুলি হল:

মাস্ক ব্যবহার: জনসাধারণের স্থানে মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি। মাস্ক কেবল নিজেকেই নয়, অন্যদেরকেও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

হাত পরিষ্কার: নিয়মিতভাবে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা।

জনসমাগম এড়িয়ে চলা: যতক্ষণ না প্রয়োজন, জনসমাগম এড়িয়ে চলা।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা: কমপক্ষে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, বিশেষ করে যখন আপনি বাইরে থাকেন।

টিকাকরণ: করোনার টিকা অবশ্যই নিন এবং বুস্টার ডোজ নিতে ভুলবেন না।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা: করোনার লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন এবং পরীক্ষা করান।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা: আপনার আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার রাখুন এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করুন।

কি করোনার হুমকি শেষ হয়েছে?

এটা বলা কঠিন যে করোনার হুমকি সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে গেছে। যদিও গত কয়েক মাসে সংক্রমণের সংখ্যা কম ছিল, তবে এখন নতুন কেসে দ্রুত বৃদ্ধি হচ্ছে। এর অর্থ হল করোনা এখনও সক্রিয় এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করা এখনও জরুরি।

Leave a comment