ভারত পাকিস্তানের সাথে বাড়তে থাকা সীমান্ত উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ই মে পর্যন্ত ৩২টি বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। নিরাপত্তার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিমানবন্দর বন্ধ: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে, নাগরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় (MoCA) ভারতের ৩২টি বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত ১৪ই মে সকাল ৫:২৯ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। নিরাপত্তার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং এতে সীমান্তবর্তী ও সংবেদনশীল এলাকার বিমানবন্দরগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রভাবিত বিমানবন্দরসমূহ
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর প্রভাবিত হবে, যার মধ্যে রয়েছে পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, লেহ, রাজস্থান এবং গুজরাটের বিমানবন্দরগুলি। এই বিমানবন্দরগুলি থেকে কোনো ফ্লাইট চালু থাকবে না। যে বিমানবন্দরগুলিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে:
পাঞ্জাব: অমৃতসর, লুধিয়ানা, পটিয়ালা, বঠিন্ডা, হালওয়ারা, পঠানকোট
হিমাচল প্রদেশ: ভুন্তর, শিমলা, কাঙ্গড়া-গগ্গল
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়: চণ্ডীগড় বিমানবন্দর
জম্মু ও কাশ্মীর এবং লেহ: শ্রীনগর, জম্মু, লেহ বিমানবন্দর
রাজস্থান: কৃষ্ণগড়, জয়সলমের, জোধপুর, বিকানের
গুজরাট: মুন্দ্রা, জামনগর, হীরাশর, পোরবন্দর, কেশোদ, কান্ডলা, ভুজ
বিমান সংস্থাগুলির অবস্থা
এয়ার ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিগো এই প্রভাবিত বিমানবন্দরগুলির জন্য তাদের ফ্লাইট বাতিল করে দিয়েছে। ইন্ডিগো তাদের গ্রাহকদের ফ্লাইটের অবস্থা পরীক্ষা করার, পুনরায় বুকিং করার বা ফেরত পাওয়ার জন্য লিঙ্ক সরবরাহ করেছে। তদুপরি, যাত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছে যেন তারা নিরাপত্তা যাচাই সম্পন্ন করার জন্য অন্তত ৩ ঘন্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছান।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ভ্রমণ পরামর্শ
পাকিস্তানের সাথে বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে নিরাপত্তাকে মাথায় রেখে, সকল বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যাত্রীদের জন্য সেকেন্ডারি লেডার পয়েন্ট চেক (SLPC) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং দর্শনার্থীদের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এয়ার মার্শালদেরও মোতায়েন করা হচ্ছে। বিমান সংস্থাগুলি যাত্রীদের সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরামর্শ দিয়েছে যাতে নিরাপত্তা প্রক্রিয়াগুলি কোনও সমস্যা ছাড়াই সম্পন্ন করা যায়।