উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার আবারও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়ে আইএএস অবনীশ অবস্থীর কার্যকাল আরও এক বছর বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
লখনউ: উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উপদেষ্টা, প্রাক্তন আইএএস অধিকারী অবনীশ অবস্থীর কার্যকাল এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এখন তিনি ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত এই পদে বহাল থাকবেন। এটি তাঁর তৃতীয় বারের জন্য কার্যকাল বৃদ্ধি। ১৯৮৭ ব্যাচের আইএএস অধিকারী অবনীশ অবস্থী ৩১ আগস্ট ২০২২ সালে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। অবসর গ্রহণের পর তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা নিযুক্ত করা হয়েছিল। নিজের কর্মজীবনে তিনি গৃহ, তথ্য, শক্তি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তৃতীয়বার কার্যকাল বৃদ্ধি
উত্তরপ্রদেশ সরকার ১৯৮৭ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অধিকারী অবনীশ অবস্থীকে ২০২২ সালে অবসর গ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উপদেষ্টা নিযুক্ত করেছিল। এখন পর্যন্ত তাঁর কার্যকাল দুবার বাড়ানো হয়েছিল—প্রথম ২০২৩ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এবং পরবর্তীতে ২০২৪ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত। এখন তৃতীয়বার তাঁর কার্যকাল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
অবনীশ অবস্থীকে যোগী আদিত্যনাথের অত্যন্ত বিশ্বস্ত অধিকারী বলে মনে করা হয়। তিনি গৃহ বিভাগ, তথ্য বিভাগ এবং শক্তি বিভাগ সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউপিতে অনেক বড় প্রকল্প যেমন পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে এবং বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ে তাঁর কর্মজীবনেই সম্পন্ন হয়েছে।
প্রশাসনিক যাত্রা এবং অবদান
অবনীশ অবস্থী ১৯৮৫ সালে আইআইটি কানপুর থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৮৭ সালে ভারতীয় প্রশাসনিক সেবায় যোগদান করেন। নিজের কর্মজীবনে তিনি ললিতপুর, বদায়ুন, আজমগড়, বারাণসী, ফয়জাবাদ, মেরঠ এবং গোরখপুরে ডিএম হিসেবে কাজ করেছেন। ইউপিপিসিএলের অধ্যক্ষ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও তিনি সেবা দিয়েছেন।
২০১৭ সালে যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর অবস্থী কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিয়োগীতা থেকে ফিরে এসে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গৃহ বিভাগ এবং ইউপিডার সিইও হিসেবেও কাজ করেছেন।
অবনীশ অবস্থীর কার্যকাল বৃদ্ধি করা যোগী সরকারের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দেওয়ার ইঙ্গিত বহন করে। এখন, যখন তাঁর কার্যকাল ২০২৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, তখন আগামী বছরগুলিতে তিনি কীভাবে সরকারের নীতি ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় অবদান রাখবেন তা দেখার বিষয়টি আকর্ষণীয় হবে।
