সানা মকবুলের বডি শেমিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ

🎧 Listen in Audio
0:00

টিভি অভিনেত্রী এবং বিগ বস ওটিটি সিজন ৩-এর বিজয়ী সানা মকবুল সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ার ট্রলিংয়ের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাবে কথা বলেছেন। তাকে বডি শেমিংয়ের শিকার হতে হয়েছে, এর পর তিনি তার ইন্সটাগ্রামে একটি কঠোর জবাব দিয়ে ভিডিও শেয়ার করেছেন।

মনোরঞ্জন: টিভি ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত অভিনেত্রী এবং বিগ বস ওটিটি সিজন ৩-এর বিজয়ী সানা মকবুল আবারও আলোচনায়, কিন্তু এবার কারণ কোনও নতুন সাফল্য নয়, বরং তার রোষে ভরা একটি ভিডিও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলদের করা বডি শেমিংয়ের জবাব দিয়ে সানা শুধুমাত্র তার কথা দৃঢ়ভাবেই বলেননি, বরং ট্রোল করা ব্যক্তিদের চিন্তাভাবনার উপরও প্রশ্ন তুলেছেন।

সম্প্রতি সানা তার ইন্সটাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন, যার পর কিছু ইউজার তার ফুলে ওঠা গাল এবং মুখের গঠন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। কেউ বলেছে "মোটা লাগছে", কেউ আবার তাকে "ফুলে ওঠা বেলুন" পর্যন্ত বলেছে। সানা এই মন্তব্যগুলিকে হালকাভাবে না নিয়ে একটি ভিডিওর মাধ্যমে ট্রোলারদের কড়া জবাব দিয়েছেন।

ভিডিওতে সানা কী বলেছেন?

সানা মকবুল তার ইন্সটাগ্রাম ভিডিওতে বলেছেন, যদি আমি মোটা লাগি, অথবা আমার মুখ ফুলে থাকে তাহলে এটা আমার শরীর, আমার ইচ্ছা। আমি যেমন দেখাই না কেন – মোটা, পাতলা অথবা বেলুনের মতো – এটা তোমাদের ঠিক করার নয়। আগে এইসব কথায় প্রভাব পড়ত, এখন আর নয়। আমাকে নিয়ে আমার গর্ব আছে এবং আমি যেমন আছি, তেমনই সুন্দরী। তিনি আরও বলেছেন যে অনেক সময় মানুষের শরীরে পরিবর্তন চিকিৎসাগত কারণে, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য, অথবা হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হয়। ভাবনাচিন্তা না করে কারও উপর মন্তব্য করা শুধুমাত্র অসংবেদনশীল নয়, বরং মানসিকভাবেও ক্ষতিকারক হতে পারে।

কেন রাগ হয়েছে?

সানা তার কর্মজীবনের শুরু মডেলিং থেকে করেছিলেন এবং পরে অনেক টিভি শোতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার পরিচিতি শুধুমাত্র একজন আকর্ষণীয় মুখ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তিনি ‘খতরোং কে খিলাড়ি’র মতো শোতে অংশগ্রহণ করে তার শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। এখন যখন তিনি বিগ বস ওটিটি ৩-এর বিজয়ী হয়ে বেরিয়েছেন, তখন স্পষ্টতই মানুষের নজর তাঁর উপর বেশি থাকবে। কিন্তু এর সাথে সাথে যদি কেউ তাকে তার শরীরের জন্য বিচার করে, তাহলে তা গ্রহণযোগ্য নয়, এই কথাই সানা তার ভিডিওতে পরিষ্কার করে দিয়েছেন।

আজকের যুগে সোশ্যাল মিডিয়া যেখানে মানুষকে একত্রিত করার একটা মাধ্যম, সেখানেই এটি বডি শেমিং, সাইবার বুলিং এবং মানসিক নির্যাতনের আস্তানাও হয়ে উঠছে। সানা মকবুলের এই অবস্থান শুধুমাত্র তার অনুসারীদের জন্যই নয়, বরং প্রত্যেক ব্যক্তির জন্যও একটা বার্তা যারা অন্যের শরীরকে তাদের মন্তব্য দিয়ে বিচার করার সাহস করে।

Leave a comment