দিব্যাঙ্কা-বিবেকের তালাকের গুজব: অভিনেতা নিজেই দিলেন স্পষ্টীকরণ

🎧 Listen in Audio
0:00

টিভি ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় দম্পতি দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠী এবং বিবেক দাহিয়ার বিবাহ নিয়ে এই সময় গুজবের বাজার গরম। সম্প্রতি এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, উভয়ে ৯ বছর পর তালাক করতে যাচ্ছেন, যা তাঁদের ভক্তদের কাছে এক বড় ধাক্কা ছিল।

মনোরঞ্জন ডেস্ক: মনোরঞ্জন জগতে গুজবের ধারা সবসময় চলতেই থাকে, আর কখনো কখনো এটি এমন খবরের রূপ নেয়, যা বেশ আলোচিত হয়। গোবিন্দা এবং সুনীতা আহুজার বিবাহের সাথে যুক্ত গুজবও একই রকমের উদাহরণ ছিল, কিন্তু এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই তা খণ্ডন করা হয়। এখন টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে আরেকটি তারকা দম্পতির তালাকের গুজব উঠেছে। তবে, এই খবর বর্তমানে শুধুমাত্র গুজবেই সীমাবদ্ধ এবং এর সত্যতার কোনো বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

মনোরঞ্জন শিল্পে প্রায়ই এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে, যার কোনো ভিত্তি থাকে না, কিন্তু কখনো কখনো এটি মিডিয়ায় বড় খবরে পরিণত হয়। এ ধরনের ঘটনায় ভক্তদের উচিত এ ধরনের গুজবে বেশি মনোযোগ না দেওয়া এবং শুধুমাত্র সরকারি তথ্যেরই অনুসরণ করা।

বিবেক দাহিয়া চুপ্পি ভেঙেছেন

বিবেক দাহিয়া সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন, যেখানে তাঁকে দিব্যাঙ্কার সাথে তাঁর তালাকের গুজব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। বিবেক এই গুজবগুলিকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করে বলেছেন, "আমরা এটা নিয়ে হাসছিলাম। আমরা দুজনে আইসক্রিম খেয়ে ভাবছিলাম যদি আরও সময় পাই তাহলে পপকর্নও মঙ্গাবে।" তিনি আরও বলেছেন, "আমিও ইউটিউব ভ্লগিং করি এবং আমি জানি ক্লিকবেট কী। আমি বুঝতে পারি, সনসনি ছড়ানোর জন্য যেকোনো গুজব উড়িয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু এতে কোনো সত্যতা নেই।"

দিব্যাঙ্কা এবং বিবেকের প্রেমকাহিনী

দিব্যাঙ্কা ত্রিপাঠী এবং বিবেক দাহিয়ার প্রথম দেখা হয় টিভি শো 'য়ে হ্যাঁ মোহাব্বতেঁর' সেটে। একটি সাক্ষাৎকারে দিব্যাঙ্কা জানিয়েছিলেন যে, তিনি বিবেকের ব্যক্তিত্বে মুগ্ধ হয়েছিলেন। উভয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে এবং পরে তারা ডেটিং শুরু করে। ২০১৬ সালে উভয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে তাদের সম্পর্ককে একটি নতুন সূচনা দিয়েছিলেন। তখন থেকে এখন পর্যন্ত তাদের বন্ধন এবং রসায়ন ভক্তদের কাছে আদর্শের উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

বিবেক এবং দিব্যাঙ্কা তালাকের গুজবকে অস্বীকার করে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তাদের সম্পর্ক দৃঢ় এবং তারা একে অপরের সাথে খুশি। টিভি ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক সময় গুজবের ধারা চলে, কিন্তু উভয়ের মতে এই ধরণের খবরের কোনো মানে নেই।

Leave a comment