মালদ্বীপের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন ক্যাটরিনা কাইফ

🎧 Listen in Audio
0:00

মালদ্বীপের পর্যটন শিল্প বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও স্টাইল আইকন ক্যাটরিনা কাইফকে তাদের নতুন গ্লোবাল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নির্বাচন করেছে। মালদ্বীপ মার্কেটিং অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স কর্পোরেশন (MMPRC) এই ঘোষণা করেছে, যার সাথে সাথে তাদের গ্রীষ্মকালীন বিক্রয় অভিযানও চালু করেছে।

মালদ্বীপের গ্লোবাল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর: বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ এখন শুধুমাত্র বড় পর্দায় নয়, একটি সুন্দর দ্বীপ দেশ মালদ্বীপের আন্তর্জাতিক ইমেজকেও নতুন পরিচয় দিতে যাচ্ছেন। মালদ্বীপ মার্কেটিং অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স কর্পোরেশন (MMPRC) তাকে তাদের গ্লোবাল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত করেছে। এই ঘোষণার সাথে সাথে ‘ভিজিট মালদ্বীপ’ তাদের গ্রীষ্মকালীন বিক্রয় অভিযান ২০২৫ এরও সূচনা করেছে, যার লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের মালদ্বীপের দিকে আকর্ষণ করা, বিশেষ করে ভারতের মতো বড় পর্যটন বাজার থেকে।

কেন ক্যাটরিনা নির্বাচিত হলেন?

MMPRC-এর CEO ইব্রাহিম শিয়ুরের মতে, ক্যাটরিনা কাইফের গ্লোবাল আবেদন, তার আকর্ষণ এবং তার শক্তিশালী সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি তাকে এই ভূমিকার জন্য আদর্শ করে তুলেছে। ক্যাটরিনার ব্যক্তিত্ব মালদ্বীপের শান্তি, বিলাসবহুলতা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই কারণেই তাকে এই গ্লোবাল অভিযানের মুখ হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।

অভিযানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য

‘ভিজিট মালদ্বীপ’এর এই গ্রীষ্মকালীন বিক্রয় অভিযান ইউরোপ, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান বাজারগুলিতে পরিচালিত হচ্ছে। ভারত, ব্রিটেন, রাশিয়া, ইতালি, স্পেন, জার্মানি এবং অস্ট্রিয়া-সহ বিভিন্ন দেশে বিশেষ প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে। এর অধীনে:

  • বিলাসবহুল রিসর্ট এবং ভিলায় প্রচুর ছাড়
  • হানিমুন এবং পারিবারিক প্যাকেজে এক্সক্লুসিভ অফার
  • অগ্রিম বুকিংয়ে ক্যাশব্যাক এবং কুপন
  • এই অভিযানের প্রধান উদ্দেশ্য ২০২৫ সালের গ্রীষ্মের জন্য অগ্রিম বুকিং বৃদ্ধি করা এবং মহামারী পর আন্তর্জাতিক পর্যটকদের আবার ফিরে আসার জন্য উৎসাহিত করা।

ভারত এবং মালদ্বীপ: সম্পর্কের মধ্যে এসেছিলো টানাপড়েন

জানুয়ারী ২০২৪ সালে মালদ্বীপের কিছু মন্ত্রী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করায় ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। এর ফলে #BoycottMaldives ট্রেন্ড করতে শুরু করে এবং অনেক ভারতীয় পর্যটক তাদের বুকিং বাতিল করে দিয়েছিল। এই ঘটনাটি মালদ্বীপের ইমেজকে ভারতে ব্যাপক ক্ষতি করেছিল, কারণ ভারত মালদ্বীপের জন্য একটি বড় এবং নির্ভরযোগ্য পর্যটন বাজার ছিল।

ক্যাটরিনার প্রভাব: কি পরিবর্তন হবে?

ক্যাটরিনা কাইফের নিযুক্তি এমন সময়ে হয়েছে যখন মালদ্বীপ সরকার তাদের পুরানো ইমেজ সংশোধন করার চেষ্টা করছে। বলিউড তারকাদের মালদ্বীপে বর্ধিত উপস্থিতি ইতিমধ্যেই এটিকে একটি সেলিব্রিটি গন্তব্য করে তুলেছে। এই অবস্থায় ক্যাটরিনার অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ভূমিকা একটি সফট ডিপ্লোমেসি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ক্যাটরিনা নিজেই একজন ভ্রমণ প্রেমী এবং মালদ্বীপের সৌন্দর্য বারবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। তাই আশা করা হচ্ছে যে তার অনুরাগী এবং তরুণ ভারতীয় ভ্রমণকারীরা এই অভিযানের প্রতি আকৃষ্ট হবেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে ভারতীয় পর্যটকদের আস্থা ফিরে পাওয়ার জন্য শুধুমাত্র প্রচারই যথেষ্ট নয়, বরং নীতিগত পরিবর্তন এবং কূটনৈতিক সম্মানও প্রয়োজন। তবে, ক্যাটরিনার মতো বড় মুখকে গ্লোবাল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করা এই দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এটি শুধুমাত্র মালদ্বীপের ইমেজ উন্নত করতে সাহায্য করবে না, বরং ভারতের সাথে তাদের পর্যটন সম্পর্ককেও পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।

Leave a comment