কুনাল কামরা বোম্বে হাইকোর্টে FIR খারিজের আবেদন

🎧 Listen in Audio
0:00

স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান কুনাল কামরা একনাথ শিন্ডের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দায়েরকৃত FIR খারিজ করার জন্য বোম্বে হাইকোর্টে একটি আবেদন দায়ের করেছেন। জেনে নিন পুরো ঘটনা এবং পরবর্তী শুনানির তারিখ।

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: কমেডির মঞ্চ থেকে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান কুনাল কামরা আবারও শিরোনামে। মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের বিরুদ্ধে তাঁর কথিত বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দায়েরকৃত FIR খারিজ করার জন্য কামরা বোম্বে হাইকোর্টের আশ্রয় নিয়েছেন। হাইকোর্ট তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুম্বাই পুলিশ এবং শিবসেনা বিধায়ক মুরজি প্যাটেলকে নোটিশ জারি করেছে। মামলার শুনানি ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।

কমেডি থেকে কোর্ট পর্যন্ত: কামরার আবেদনে হাইকোর্টের অবস্থান

কুনাল কামরা খার পুলিশ স্টেশনে দায়েরকৃত FIR-কে চ্যালেঞ্জ করে বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন দায়ের করেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন যে তাঁর বক্তব্য একটি ব্যঙ্গাত্মক উপস্থাপনা ছিল এবং এটিকে ‘দেশদ্রোহ’র মতো গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা সংবিধানের বাক্‌ স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। কোর্ট তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্র পুলিশ এবং অভিযোগকারী মুরজি প্যাটেলকে নোটিশ পাঠিয়ে ১৬ এপ্রিল শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছে।

তিনবার সমন, তারপরও হাজির হননি কামরা

মুম্বাই পুলিশের পক্ষ থেকে তিনবার সমন পাঠানোর পরও কুনাল কামরা এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হননি। তাঁর দাবি, তাঁকে জীবনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তাই তিনি ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রস্তুত। বর্তমানে মাদ্রাজ হাইকোর্ট ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁকে আন্তবর্তীক অগ্রিম জামিন দিয়েছে।

শো শেষে হোটেলে ভাঙচুর, শিবসেনার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ

কুনাল কামরা তাঁর একটি শোতে একনাথ শিন্ডের উপর নাম না বলে কটাক্ষ করে ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ ছবির একটি গানের সুরে একটি ব্যঙ্গাত্মক গান উপস্থাপন করেছিলেন, যেখানে তাঁকে ‘গাদ্দার’ বলা হয়েছিল। এর পর শিবসেনার সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা সেই হোটেল ও ক্লাবে ভাঙচুর করে যেখানে শোটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মুরজি প্যাটেলের অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচটি আলাদা FIR দায়ের করা হয়েছে।

অভিব্যক্তি বনাম অপমানের প্রশ্ন

কুনাল কামরার এই মামলা এখন শুধুমাত্র একটি কমেডি শোর সীমা পেরিয়ে আইন, রাজনীতি এবং অভিব্যক্তির স্বাধীনতার বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। পরবর্তী শুনানিতে স্পষ্ট হবে যে কোর্ট এই মামলাকে কোন দিকে নিয়ে যাবে – ব্যঙ্গের স্বাধীনতার পক্ষে নাকি সামাজিক মর্যাদার রক্ষার নামে সীমা নির্ধারণের পক্ষে।

Leave a comment