কাঙ্গনার বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য ওয়ারেন্টের হুঁশিয়ারি

অভিনেত্রী কাঙ্গনা রানাওয়াত এবং জাভেদ আখতারের মধ্যে ২০১৬ সাল থেকে চলছে একটি আইনি বিবাদ। বারবার শুনানির পরও কাঙ্গনা হাজির হননি, যার জন্য জাভেদ আখতার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছেন।

কাঙ্গনা রানাওয়াত: মুম্বাইয়ের বান্দ্রা আদালত অভিনেত্রী এবং সাংসদ কাঙ্গনা রানাওয়াতকে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে। আদালত বারবার হাজিরার নির্দেশ দিয়েও কাঙ্গনা উপস্থিত হননি। যদি পরবর্তী শুনানিতে তিনি হাজির না হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে অজামিনযোগ্য ওয়ারেন্ট (NBW) জারি করা হতে পারে। এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কাঙ্গনার পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সম্পূর্ণ ঘটনা কী?

কাঙ্গনা রানাওয়াত এবং বিখ্যাত গীতিকার জাভেদ আখতারের মধ্যে ২০১৬ সাল থেকে আইনি বিবাদ চলছে। এই বিবাদ শুরু হয় যখন কাঙ্গনা এবং অভিনেতা ঋত্বিক রোশনের মধ্যে ইমেইল বিবাদের খবর শিরোনামে ছিল। সেই সময় জাভেদ আখতার কাঙ্গনাকে এই বিবাদ শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, কিন্তু বিষয়টি আরও জটিল হতে থাকে। পরে উভয় পক্ষ আইনি লড়াই শুরু করে।

অজামিনযোগ্য ওয়ারেন্টের দাবি কেন?

মঙ্গলবার কাঙ্গনা রানাওয়াতকে বান্দ্রা আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তিনি সংসদ অধিবেশনের কথা উল্লেখ করে হাজির হননি। এরপর জাভেদ আখতারের আইনজীবী জয় কে ভারদ্বাজ আদালতে অজামিনযোগ্য ওয়ারেন্ট জারির দাবি করেন। তারা বলেন, কাঙ্গনা গত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তারিখে অনুপস্থিত ছিলেন, যার সংখ্যা প্রায় ৪০টি। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে উভয় পক্ষ মধ্যস্থতার পথ বেছে নিয়েছিল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন সমাধান হয়নি।

২০১৬ সাল থেকে চলছে বিবাদ

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬ সালে জাভেদ আখতার কাঙ্গনাকে তার বাড়িতে ডেকে ঋত্বিক রোশনের সাথে জড়িত ইমেইল বিবাদ সমাধানের পরামর্শ দিয়েছিলেন। এই দেখা করার পর থেকেই তাদের মধ্যে আইনি টানাপড়েন শুরু হয়। জাভেদ আখতার কাঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন, প্রতিক্রিয়ায় কাঙ্গনাও তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।

‘ইমারজেন্সি’ নিয়ে আলোচনায় কাঙ্গনা

কাঙ্গনা রানাওয়াত সম্প্রতি তার ছবি ‘ইমারজেন্সি’ নিয়ে আলোচনায় ছিলেন। এই ছবিতে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং নির্দেশনাও দিয়েছেন। ‘ইমারজেন্সি’ মুক্তির আগে বেশ কিছু বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছিল এবং অনেক জায়গায় এটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছিল। বক্স অফিসে ছবিটির সাফল্য আশানুরূপ হয়নি এবং এখন পর্যন্ত এটি ১৮ কোটি টাকা আয় করেছে।