গোবিন্দা এবং তাঁর স্ত্রী সুনীতা আহুজার দাম্পত্য জীবনে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না। মিডিয়ার খবরে বলা হচ্ছে, গোবিন্দার একজন মারাঠি অভিনেত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে, যার ফলে ৩৭ বছরের সংসারের পর এই দম্পতি বিবাহবিচ্ছেদের দিকে এগোচ্ছে। তবে, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত উভয় পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গোবিন্দার ৩০ বছর বয়সী একজন মারাঠি অভিনেত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। একই সাথে, এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
কৃষ্ণা অভিষেক বিবাহবিচ্ছেদের খবর অস্বীকার করেছেন
গোবিন্দার ভাতিজা এবং কমেডিয়ান কৃষ্ণা অভিষেক এই খবরগুলিকে অস্বীকার করে বলেছেন, "এটা সম্ভব নয়। আমার মনে হয় তারা নিজেরাই সবকিছু সামলে নেবেন এবং বিবাহবিচ্ছেদ করবেন না। আমি জানি না তাদের মধ্যে কী হয়েছে, কিন্তু মামা-মামি একে অপরকে খুব ভালোবাসে। এত বছর একসাথে থাকার পর হঠাৎ করে আলাদা হওয়া সম্ভব নয়।"
গোবিন্দা এবং সুনীতার সম্পর্কে দূরত্ব, গ্রে ডিভোর্সের গুঞ্জন তীব্র
যদি গোবিন্দা এবং সুনীতা আহুজার বিবাহবিচ্ছেদ হয়, তাহলে তাকে গ্রে ডিভোর্স বলা হবে। প্রকৃতপক্ষে, যখন কোন দম্পতি ২৫ থেকে ৪০ বছর একসাথে কাটানোর পর আলাদা হয়, তখন তাকে গ্রে ডিভোর্স বা সিলভার স্প্লিটার্স বলা হয়। এই প্রবণতা আমেরিকা এবং ইউরোপে জনপ্রিয় ছিল, কিন্তু এখন ভারতেও আলোচনায় রয়েছে।
আলাদা আলাদা বাড়িতে থাকছেন গোবিন্দা এবং সুনীতা
সম্প্রতি সুনীতা আহুজা একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তিনি এবং গোবিন্দা এখন আলাদা আলাদা বাড়িতে থাকেন। তাঁর মতে, একটি ফ্ল্যাটে তাঁর মন্দির এবং সন্তানরা আছে, আর গোবিন্দা অন্য ফ্ল্যাটে থাকেন। তিনি বলেছেন, গোবিন্দা তাঁর মিটিং এবং কথোপকথনে ব্যস্ত থাকেন, তাই সেখানেই থাকতে পছন্দ করেন।
গোবিন্দা এবং সুনীতার প্রেমকাহিনী
সুনীতা গোবিন্দার চাচা আনন্দ সিংহের শ্যালিকা ছিলেন। প্রথম দেখা থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সূত্রপাত হয়। একটা পার্টি থেকে ফিরতি পথে ভুলবশত গোবিন্দার হাত সুনীতার হাতে লেগেছিল, এবং তারা তাদের হাত সরাননি; সেখান থেকেই তাদের সম্পর্কের শুরু। কিছুদিন সম্পর্কে থাকার পর ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৭ সালে তাদের বিয়ে হয়।
নীলমের সাথে বিয়ে করার কাছাকাছি ছিলেন গোবিন্দা, কিন্তু একটা ফোনকল ভাগ্য বদলে দিল
৯০-এর দশকে গোবিন্দা এবং নীলম কোঠারীর প্রেমের গুঞ্জন জোরেশোরে ছিল। তারা একসাথে অনেক ছবিতে কাজ করেছেন, যদিও নীলম এক সাক্ষাৎকারে এই খবরগুলিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু গোবিন্দা নিজেই এক সাক্ষাৎকারে নীলমের সাথে তাঁর সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছিলেন।
সুনীতার সাথে ব্রেক-আপ করেছিলেন গোবিন্দা
১৯৯০ সালে স্টারডাস্ট ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গোবিন্দা বলেছিলেন, "ছবিতে ব্যস্ত থাকার কারণে আমার এবং সুনীতার সম্পর্কে প্রভাব পড়েছে। সুনীতার অসম্ভব অনিশ্চয়তা এবং ঈর্ষা হতে শুরু করেছিল, যার ফলে আমাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকত। একবার সুনীতা নীলমকে নিয়ে কিছু বলেছিলেন, যার ফলে আমি আমার সীমা লঙ্ঘন করেছিলাম। আমি সুনীতাকে বলেছিলাম যে সে আমাকে ছেড়ে দিক এবং আমাদের ব্রেক-আপ হয়ে গেছে।"
গোবিন্দা আরও বলেছিলেন, "যদি ঝগড়ার পাঁচ দিন পর সুনীতা আমাকে ফোন না করত, তাহলে আমি নীলমকে বিয়ে করতাম।" এই একটা ফোনকল গোবিন্দার জীবন বদলে দিয়েছিল এবং তিনি সুনীতাকে বিয়ে করেছিলেন।
