ডলি পার্টনের স্বামী কার্ল ডিনের মৃত্যু

অস্কার ২০২৫-এর একদিন পরে গায়ক ডলি পার্টনের স্বামী কার্ল ডিন ৮২ বছর বয়সে মারা গেছেন। ডলি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুঃখজনক খবরের পুষ্টি করেছেন।

ডলি পার্টন: বিশ্বজুড়ে তাঁর কণ্ঠের মাধুর্যে লোকজনের মন জয় করে নেওয়া বিখ্যাত গায়িকা ডলি পার্টনের (Dolly Parton) বাড়িতে এখন শোকের ছায়া নেমেছে। তাঁর স্বামী কার্ল ডিন (Carl Dean) ৮২ বছর বয়সে মারা গেছেন। ডিনের মৃত্যু হয় সোমবার টেনেসির ন্যাশভিলে। তিনি একজন ব্যবসায়ী ছিলেন এবং ন্যাশভিলে ডামার-ফ্লোরিং কোম্পানির মালিক ছিলেন।

ডলি ভাবুক পোস্ট শেয়ার করেছেন

ডলি পার্টন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি আবেগঘন পোস্ট শেয়ার করে স্বামীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, "কার্ল এবং আমি একসাথে অনেক বছর কাটিয়েছি, যা শব্দে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আমাদের প্রেম ৬০ বছর ধরে টিকে ছিল। সকলের সমবেদনা এবং সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।"

প্রথম দেখা থেকে বিয়ের পথ পর্যন্ত

ডলি পার্টন এবং কার্ল ডিনের প্রথম দেখা হয় ন্যাশভিলে তাঁর প্রথম দিনেই একটি লন্ড্রোম্যাটের বাইরে। ডলি একবার বলেছিলেন যে, যখন কার্ল প্রথম তাঁর সাথে দেখা করেছিলেন, তখন তিনি তাঁর চোখের মধ্যে চোখ রেখে কথা বলেছিলেন, যা তাকে অবাক করে দিয়েছিল। দুই বছর পর, ৩০শে মে, ১৯৬৬ সালে, দুজনেই জর্জিয়ার রিংগোল্ডে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে বিয়ে করেন।

ডিন সবসময়ই ছিলেন লাইমলাইটের বাইরে

ডলি পার্টন শোবিজের জগতে বিখ্যাত ছিলেন, কিন্তু তাঁর স্বামী কার্ল ডিন সবসময়ই সুর্খির বাইরে ছিলেন। তিনি গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রির সাথে কোনো সম্পর্ক রাখতে চাইতেন না এবং তাঁর ব্যবসার উপরই মনোযোগ দিতেন। ডলি একবার একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, অনেক লোকই বিশ্বাস করতে পারত না যে তাঁদের বিয়ে হয়েছে।

স্বামীর সাথে জড়িত ডলির বিখ্যাত গান "জোলেইন"

ডলি পার্টনের হিট গান "জোলেইন" তাঁর স্বামী কার্ল ডিনের কাছ থেকেই অনুপ্রাণিত। তিনি জানিয়েছিলেন যে এই গানটি একজন ব্যাংক টেলারের সাথে জড়িত, যার উপর কার্লের ক্রাশ ছিল। ডলি মজা করে বলেছিলেন যে তাঁর স্বামী কেবলমাত্র সেই মেয়েটির উপর বেশি মনোযোগ পাওয়ার জন্যই ব্যাংকে যেতে পছন্দ করতেন।

সন্তান ছিল না, কিন্তু সম্পর্ক ছিল অটুট

ডলি পার্টন এবং কার্ল ডিনের কোনো সন্তান ছিল না, কিন্তু তাদের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত দৃঢ়। পার্টন বহুবার বলেছেন যে তাদের প্রেম ছিল নিঃশর্ত। এখন তাঁর চলে যাওয়ায় ডলি গভীর শোকে আছেন, তবে তিনি তাঁর স্মৃতি ধরে রেখে এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।