বাদশাহর ‘ভেলভেট ফ্লো’ গান: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের তীব্র প্রতিক্রিয়া ও মামলার দাবি

🎧 Listen in Audio
0:00

র‍্যাপার বাদশাহের নতুন গান ‘ভেলভেট ফ্লো’ বর্তমানে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। গানে ব্যবহৃত কিছু শব্দকে কেন্দ্র করে খ্রিস্টান সম্প্রদায় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে এবং তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মামলা দায়েরের দাবি জানিয়েছে।

মনোরঞ্জন: বাদশাহ তার নতুন গান "ভেলভেট ফ্লো"র কারণে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এই গানের কিছু শব্দ এবং শব্দার্থ নিয়ে খ্রিস্টান সমাজ আপত্তি জানিয়েছে, বিশেষ করে গানের প্রথম অংশে চার্চ এবং বাইবেলের উল্লেখ নিয়ে। জলন্ধর ক্যান্ট খ্রিস্টান আন্দোলনের ধর্মীয় শাখার প্রদেশ সভাপতি পাস্টর গৌরব মশীহ গিল বলেছেন যে, গানে বাদশাহ 'ঘর লাগে চার্চ আর পাসপোর্ট হল বাইবেল' এই ধরণের শব্দ ব্যবহার করেছেন, যা খ্রিস্টান সম্প্রদায় অপমানজনক এবং অসংবেদনশীল বলে মনে করেছে।

তাদের অভিযোগ, এই গানটি অশ্লীল শব্দে ভরা এবং বাইবেল ও চার্চের নামের উল্লেখ অপমানজনকভাবে করা হয়েছে। এ নিয়ে খ্রিস্টান সমাজ কমিশনারেট পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে বাদশাহের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের দাবি জানিয়েছে। পাস্টর গৌরব মশীহ গিল আরও বলেছেন যে, পুলিশ বাদশাহকে গ্রেপ্তার করুক এবং গানটি ইন্টারনেট মিডিয়া থেকে সরিয়ে ফেলুক, যাতে এ ধরণের বিতর্ক এড়ানো যায়।

গানের শুরুর লাইন নিয়ে বিতর্ক

গানের শুরুর লাইনগুলিই বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গানের প্রথম অংশে বাদশাহ 'ঘর লাগে চার্চ আর পাসপোর্ট হল বাইবেল' এই ধরণের শব্দ ব্যবহার করেছেন, যা খ্রিস্টান সমাজের মানুষের কাছে আপত্তিজনক মনে হয়েছে। জলন্ধর ক্যান্ট খ্রিস্টান আন্দোলনের ধর্মীয় শাখার প্রদেশ সভাপতি পাস্টর গৌরব মশীহ গিল এই গানের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, গানে চার্চ ও বাইবেলের নাম অপমানজনকভাবে নেওয়া হয়েছে, যার ফলে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত পেয়েছে।

পুলিশে দেওয়া অভিযোগে পাস্টর গিল বলেছেন, গানটি পুরোপুরি অশ্লীল ও বিতর্কিত শব্দে ভরা। গানে বাইবেল ও চার্চের উল্লেখ শুধু ভুল নয়, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও অসংবেদনশীল। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সমাজের মানুষ পুলিশের কাছে বাদশাহের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তারা চায় গানটি ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলা হোক এবং র‍্যাপারকে গ্রেপ্তার করা হোক।

বাদশাহ আগেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন

গানের এই বিতর্ক বাদশাহর জন্য নতুন নয়। এর আগেও তিনি বহুবার বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। ২০২৩ সালে তার গান ‘সনক’ও একই ধরণের বিতর্কের কারণ হয়েছিল। সেই গানে ভগবান শিবের নাম নেওয়া হয়েছিল, যার জন্য মহাকালেশ্বর মন্দিরের পুরোহিত তাকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি গানে ‘ভোলেনাথ’ শব্দের ব্যবহার নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বলেছিলেন, এর উল্লেখ ভুলভাবে করা হয়েছে। এরপর বাদশাহকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমাও চাইতে হয়েছিল।

২০২০ সালে ‘গেন্দা ফুল’ গান নিয়েও বাদশাহ বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এই গানের কিছু লাইন নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল যে, তিনি কপি করেছেন এবং লেখককে যথাযথ ক্রেডিট দেননি। বিষয়টি বড় হওয়ার পর বাদশাহ লেখককে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছিলেন।

এই সমস্ত বিতর্ক সত্ত্বেও বাদশাহর এই গান এবং তার শৈলী জনপ্রিয় হচ্ছে। তবে, এই ধরণের বিতর্ক তার জন্য ঝামেলার কারণ হয়ে উঠছে। তিনি একজন পেশাদার র‍্যাপার ও গায়ক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন, কিন্তু তার তীব্র সমালোচনাও চলে আসছে। বিশেষ করে, যখন তিনি ধর্মীয় প্রসঙ্গ ব্যবহার করেন, তখন তাই বিতর্কের জন্ম হয়।

এখন দেখার বিষয়, এই বিতর্কে পুলিশ কী ব্যবস্থা নেয় এবং বাদশাহ এই বিষয়টিকে কীভাবে সামলায়। গানটি সরানো হবে নাকি তাতে কোন পরিবর্তন আনা হবে, তা ভবিষ্যতে স্পষ্ট হবে।

Leave a comment