আমির খানের ‘সিতারে জমিন পার’ বয়কটের মুখে দেশপ্রেমের প্রতীক

🎧 Listen in Audio
0:00

‘সিতারে জমিন পার’ নিয়ে বয়কটের দাবীর মধ্যে আমির খান নতুন পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইল পিকচার (ডিপি) বদলে দেশপ্রেমের भाव প্রকাশ করেছেন।

আমির খানের ডিপি পরিবর্তন: বলিউড সুপারস্টার আমির খান আবারও শিরোনামে, কিন্তু এবার তার অভিনয় বা সমাজকল্যাণমূলক ছবির জন্য নয়, বরং একটি ‘ক্ষতি नियন্ত্রণ’ কৌশল হিসেবে এটিকে দেখা হচ্ছে। তার আসন্ন ছবি ‘সিতারে জমিন পার’ মুক্তির আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বয়কটের দাবি জোরদার হয়েছে, এবং এর মধ্যেই আমির খান প্রোডাকশন হাউস অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ নিয়েছে—সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে তাদের প্রোফাইল পিকচার ভারতীয় ত্রিরঙায় পরিবর্তন করেছে।

আমিরের ‘ক্ষতি नियন্ত্রণ’ সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রান্ত

গত কয়েকদিন ধরে আমির খানের আসন্ন ছবি ‘সিতারে জমিন পার’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিবাদ দেখা গেছে। ছবি মুক্তির আগেই টুইটারে (এখন X) #BoycottSitareZameenPar ট্রেন্ড করতে শুরু করেছে। এর মধ্যেই আমির খান প্রোডাকশনের ডিপি ত্রিরঙায় পরিবর্তিত হয়েছে। এই পরিবর্তন এতই হঠাৎ এবং বিশেষ করে বহিষ্কারের মধ্যেই করা হয়েছে যে ব্যবহারকারীরা এটিকে ‘ক্ষতি नियন্ত্রণ’ এর কৌশল বলে মনে করছেন।

একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, এখন ত্রিরঙা লাগিয়ে কি প্রমাণ করবেন? যখন দেশের উপর আক্রমণ হয়েছিল তখন চুপ ছিলেন, এখন ছবি আসছে বলে দেশপ্রেম মনে পড়ছে? অন্য একজন লিখেছেন, এতে কোনও ফারাক পড়বে না, জনতা সব জানে।

কেন ‘সিতারে জমিন পার’ বয়কট হচ্ছে?

‘সিতারে জমিন পার’ একটি সমাজকল্যাণমূলক ছবি যা প্রতিবন্ধী শিশুদের মানসিক ও আবেগগত অবস্থাকে তুলে ধরে। ছবির ট্রেলার দর্শকদের পছন্দ হয়েছে, কিন্তু আমিরের পুরোনো মন্তব্য এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিয়ে মানুষ এখনও ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে তুরস্ক ভ্রমণের সময় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে যেখানে তিনি তুরস্কের প্রথম মহিলা সাথে দেখা করেছিলেন। তুরস্ক কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছিল, যার ফলে আমিরকে ‘দেশবিরোধী’ লেবেলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

‘ভারত-পাক’ ইস্যুতে আমিরের নীরবতায় মানুষ ক্ষুব্ধ

সম্প্রতি পুলওয়ামায় জঙ্গি আক্রমণের পর ভারতীয় সেনার পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে চালানো অভিযান নিয়ে আমির খানসহ বেশ কিছু বলিউড সেলিব্রিটি নীরবতা পালন করেছিলেন। এজন্যও আমিরকে ট্রোল করা হয়েছিল। তবে পরে যখন ABP নিউজ আমিরের কাছে এই ইস্যুতে প্রশ্ন করেছিল, তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, আমাদের সরকারের উপর পুরোপুরি আস্থা আছে যে তারা দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং এমন ঘটনা আবার না ঘটে সে ব্যবস্থা করবে।

কিন্তু এই বক্তব্যও মানুষকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীরা লিখেছেন, এই বক্তব্য শুধুমাত্র মিডিয়ার চাপে দেওয়া হয়েছে এবং যখন দেশকে ঐক্য প্রদর্শনের প্রয়োজন ছিল, তখন বলিউড নীরব ছিল।

ছবি নিয়ে আমিরের দৃষ্টিভঙ্গি

আমির খান ‘সিতারে জমিন পার’ কে তার কর্মজীবনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছবি বলে উল্লেখ করেছেন। এই ছবিটি শুধুমাত্র मनोरंजन দেয় না, বরং সমাজকে সচেতন করারও কাজ করে। আমিরের মতে, আমরা চাই প্রতিটি শিশু সমাজে সমান অধিকার পাক এবং তাকে বোঝা যাক। এই ছবির মাধ্যমে আমরা সেই भावना তুলে ধরছি।

‘সিতারে জমিন পার’ ছবিটির পরিচালনা করেছেন আমির খান নিজেই এবং ছবিটি ২০ জুন ২০২৫ সালে সিনেমা হলে মুক্তি পাবে। ট্রেলারটি ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে এবং ছবির গল্প দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে। তবে, আমিরের বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদের ফলে ছবির উদ্বোধনে প্রভাব পড়তে পারে।

Leave a comment