কোলোরাডো হামলা: ট্রাম্পের তীব্র নিন্দা ও বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা

🎧 Listen in Audio
0:00

আমেরিকার কোলোরাডোতে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন এ ধরণের ঘটনা আমেরিকায় সহ্য করা হবে না।

ওয়াশিংটন: আমেরিকার কোলোরাডো রাজ্যের বোল্ডার অঞ্চলে রবিবার সংঘটিত একটি সন্ত্রাসী হামলায় গোটা দেশ কেঁপে উঠেছে। এই হামলায় ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন, এবং হামলাকারীকে অবিলম্বে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এবং বাইডেন প্রশাসনের উন্মুক্ত সীমান্ত নীতিকে এই হামলার জন্য দায়ী করেছেন।

ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টের মাধ্যমে বলেছেন, আমেরিকায় এ ধরণের হামলা সহ্য করা হবে না এবং দেশের সীমান্ত আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজন রয়েছে।

হামলা এবং তার গোয়েন্দাগত উপসংহার

কোলোরাডোর বোল্ডার অঞ্চলে মোলোটভ ককটেল ব্যবহার করে সংঘটিত এই হামলা একটি প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী ঘটনা হিসেবে প্রকাশ পেয়েছে। মোলোটভ ককটেল, যাকে সাধারণ ভাষায় পেট্রোল বোমাও বলা হয়, এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছিল যার ফলে আশেপাশের ছয়জন গুরুতরভাবে পুড়ে আহত হয়েছেন। হামলাকারীর পরিচয় মোহাম্মদ সাবরি সলিমান হিসেবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এফবিআই এই হামলাকে ‘লক্ষ্যবস্তু সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে ঘোষণা করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

হামলার সময় মোহাম্মদ সাবরি সলিমান ‘ফ্রি ফিলিস্তিন’ স্লোগানও দিয়েছিলেন, যা এই ঘটনাকে আরও সংবেদনশীল এবং রাজনৈতিকভাবে জটিল করে তুলেছে। বর্তমানে অভিযুক্ত আটক রয়েছে এবং তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

ট্রাম্পের তীব্র মন্তব্য

রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে লিখেছেন, কোলোরাডোর বোল্ডারে সংঘটিত এই ভয়াবহ হামলা যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকা সহ্য করবে না। এই হামলা বাইডেনের উন্মুক্ত সীমান্ত নীতির ফল, যা দেশের নিরাপত্তাকে বিপন্ন করেছে। আমাদের এই নীতি বাতিল করে ট্রাম্পের নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ মডেল পুনরায় প্রয়োগ করতে হবে।

ট্রাম্প আরও বলেছেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি এবং সমস্ত দোষীকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। তিনি এই ঘটনাকে এমন একটি উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যা প্রমাণ করে আমেরিকাকে নিজের সীমান্ত শক্তিশালী করতেই হবে এবং অবৈধ আমেরিকা-বিরোধী কট্টরপন্থীদের দেশ থেকে বের করে দিতে হবে।

ট্রাম্পের সমবেদনা এবং রাজনৈতিক বার্তা

ট্রাম্প হামলার শিকারদের এবং কোলোরাডোর জনগণের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। তিনি বলেছেন, আমার সমবেদনা এই মর্মান্তিক ঘটনার শিকার পরিবারগুলোর সাথে। হামলাকারীদের কঠোর শিক্ষা দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর এ ধরণের ঘটনা ঘটাতে সাহস না পায়। ট্রাম্পের এই বক্তব্য আগামী রাজনৈতিক পরিবেশে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। বাইডেন প্রশাসনের নীতিগুলিকে সরাসরি দায়ী করে তিনি আগামী নির্বাচনে নিজের নিরাপত্তা নীতি নিয়ে দৃঢ় ভাবে অবস্থান গ্রহণ শুরু করে দিয়েছেন।

বাইডেন প্রশাসনের চ্যালেঞ্জ

এই সন্ত্রাসী হামলা বাইডেন প্রশাসনের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। আমেরিকার সীমান্তের নিরাপত্তা, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ট্রাম্পের অভিযোগের মধ্যে প্রশাসনকে প্রমাণ করতে হবে যে তারা দেশের নিরাপত্তার প্রতি গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ধরণের ঘটনা রোধ করার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে।

আমেরিকার কর্মকর্তারা বর্তমানে ঘটনার তদন্তে ব্যস্ত এবং ঘটনার কারণ, হামলাকারীর যোগাযোগ এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয় নিয়ে খোঁজ করছে। পাশাপাশি, প্রশাসন জনগণকে আশ্বাস দিয়েছে যে তারা নিরাপত্তায় কোনো ঘাটতি রাখবে না।

Leave a comment