শেয়ার বাজারের IPO: বিনিয়োগকারীদের জন্য GMP-এর গুরুত্ব

🎧 Listen in Audio
0:00

নয়াদিল্লি: শেয়ার বাজারে ইনিশিয়াল পাবলিক অফার (IPO) -এর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর সাথে সাথে গ্রে মার্কেট প্রিমিয়াম (GMP)ও বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হয়ে উঠেছে, যার মাধ্যমে তারা একটি IPO-এর লিস্টিং প্রাইস কেমন হতে পারে তার আন্দাজ করতে পারেন। তবে, এটি একটি অসমর্থিত তথ্য এবং বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।

IPO এবং GMP-এর সম্পর্ক কী?

IPO অর্থাৎ ইনিশিয়াল পাবলিক অফারের মাধ্যমে কোনও প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের জন্য তাদের শেয়ারগুলি জনসাধারণের কাছে বিক্রি করে। স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুত কোম্পানিগুলির জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। অন্যদিকে, GMP (Grey Market Premium) অসমর্থিত এবং অনিয়ন্ত্রিত বাজারে একটি IPO-এর সম্ভাব্য লিস্টিং প্রাইসের ইঙ্গিত দেয়।

GMP কীভাবে কাজ করে?

গ্রে মার্কেট প্রিমিয়াম (GMP) সেই অতিরিক্ত মূল্যকে নির্দেশ করে, যার উপর IPO লিস্টিং হওয়ার আগেই শেয়ার কেনাবেচা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও প্রতিষ্ঠানের IPO 500 টাকা প্রতি শেয়ারে চালু হয় এবং GMP 100 টাকা থাকে, তাহলে এর অর্থ হল শেয়ারের সম্ভাব্য লিস্টিং 600 টাকায় হতে পারে। তবে, লিস্টিংয়ের পর বাজারের প্রকৃত অবস্থার উপর নির্ভর করে মূল্যে উত্থান-পতন সম্ভব।

কীভাবে GMP গণনা করা যায়?

GMP গণনার একটি সহজ উপায় হল:

GMP = গ্রে মার্কেট প্রিমিয়াম × শেয়ারের সংখ্যা

কোনও আনুষ্ঠানিক উৎস IPO-এর GMP ট্র্যাক করার জন্য নেই। এই তথ্যটি সাধারণত শেয়ার বাজারের বিশেষজ্ঞ, দালাল এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ট্রেডিং কার্যকলাপের উপর ভিত্তি করে বেরিয়ে আসে। অতএব, কোনও IPO-তে বিনিয়োগ করার আগে GMP-এর পাশাপাশি কোম্পানির আর্থিক অবস্থা এবং বাজারের প্রবণতা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।

দাবিত্যাগ:

GMP কেবলমাত্র একটি অনুমান এবং এটি কোনও IPO-এর লিস্টিং প্রাইসের গ্যারান্টি দেয় না। বিনিয়োগকারীদের কেবলমাত্র GMP-এর উপর ভিত্তি করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আর্থিক পরামর্শদাতার মতামত নেওয়া উচিত।

Leave a comment