বিশ্বের শেয়ার বাজারে আবারও দেখা যাচ্ছে ঝড়ো উত্থান। আমেরিকার পক্ষ থেকে ট্যারিফে শিথিলতার ইঙ্গিত পাওয়ার পর বিশ্ববাজারে উৎসাহের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার এশিয়ার বাজারগুলি এই গতি আরও ত্বরান্বিত করে চমৎকার শুরু করেছে। জাপানের Nikkei 225 প্রাথমিক লেনদেনে ১০% এর বেশি লাফ দিয়ে আলোচনায় এসেছে, যা সাম্প্রতিক বছরের সবচেয়ে দ্রুত গতির একটি।
এশিয়ার বাজার: আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যারিফ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তের প্রভাব এখন বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। বুধবার আমেরিকার শেয়ার বাজারে প্রচণ্ড উত্থান দেখা গেছে, তার পর বৃহস্পতিবার এশিয়ার বাজারগুলিও জোরালো শুরু করেছে। জাপানের নিক্কেই সূচক প্রাথমিক লেনদেনে ১০% এর বেশি লাফ দিয়ে লেনদেন করতে দেখা গেছে, যা সাম্প্রতিক বছরের একটি বড় লাফ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। একইভাবে, দক্ষিণ কোরিয়ার কোসপিতে ৫.৪% এবং কোসডাকে ৪.৬১% এর প্রচণ্ড উত্থান দেখা গেছে।
তবে, হংকংয়ের হ্যাং সেন প্রাথমিক লেনদেনে কিছুটা দুর্বল দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার S&P/ASX 200 ফিউচার্স সূচক ৭% পর্যন্ত উত্থান নিয়ে লেনদেন করছিল, যা ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় উত্থান বলে মনে করা হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পর বিশ্ববাজারে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে আমেরিকার বাজারে দেখা দিয়েছে 'বুম ইফেক্ট'
• আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্যারিফ নীতিতে পরিবর্তন আনার পর ৯০ দিনের স্বস্তির সময় ঘোষণা করেছেন। এর ফলে আমেরিকার বাজারে প্রচণ্ড উত্থান দেখা গেছে।
• ডাও জোন্স ২৪০৩ পয়েন্ট (৬.৩৮%) লাফ দিয়ে বন্ধ হয়েছে ৪০,০৪৮.৫৯ এ।
• S&P ৫০০ এ ৯.৫% এর বড় লাফ, বন্ধ হয়েছে ৫৪৫৬.৯০ এ।
• NASDAQ সকলকে চমকে দিয়ে ১২.১৬% এর বৃহৎ উত্থান দেখিয়েছে এবং ১৭,১২৪.৯৭ এ বন্ধ হয়েছে।
এশিয়ায় উত্থানের ঢেউ
• বৃহস্পতিবার এশিয়ার বাজারে জোরালো শুরু দেখা গেছে:
• জাপানের Nikkei 225 ১০% এর বেশি লাফ দিয়েছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উৎসাহের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে।
• দক্ষিণ কোরিয়ার Kospi ৫.৪% এবং Kosdaq ৪.৬১% শক্তির সাথে লেনদেন করতে দেখা গেছে।
• অস্ট্রেলিয়ার S&P/ASX ২০০ ফিউচার্সও ৭% পর্যন্ত লাফ দিয়েছে, যা ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় উত্থান বলে মনে করা হচ্ছে।
• তবে, হংকংয়ের Hang Seng কিছুটা মন্দ দেখা দিয়েছে এবং প্রাথমিক লেনদেনে হালকা হ্রাসের সাথে খোলা হয়েছে।
চীন-আমেরিকার মধ্যে আবারও উত্তপ্ত ট্রেড ওয়ারের পরিবেশ
একদিকে ট্যারিফে স্বস্তি দেওয়া হলেও, অন্যদিকে ট্রাম্প প্রশাসন চীনের উপর ট্যারিফ ১০৪% থেকে বাড়িয়ে ১২৫% করে দিয়েছে। এর জবাবে চীনও আমেরিকার পণ্যের উপর ট্যারিফ ৩৪% থেকে বাড়িয়ে ৮৪% করে দিয়েছে। এমতাবস্থায় এই গতি দীর্ঘদিন ধরে বজায় থাকবে কিনা, তা নিয়ে এখনও সন্দেহ রয়েছে। এই বিশ্বব্যাপী উত্থানের ঢেউয়ের মধ্যে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা শুধুমাত্র খবরের মাধ্যমে যুক্ত হতে পেরেছে কারণ মহাবীর জয়ন্তীর দিন ভারতীয় শেয়ার বাজার বন্ধ ছিল। বুধবার ভারতীয় বাজারে হ্রাস দেখা গেছে, আরবিআই কর্তৃক রেপো রেট কমানোর পরও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম ছিল।
