ভারতের অর্থনীতিতে মন্দার ফলে মধ্যবিত্তের ব্যয়ের উপর প্রভাব পড়েছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কে করমুক্ত করতে পারেন।
বাজেট ২০২৫: অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন এবং এবার করদাতাদের অনেক আশা। গত কয়েকটি ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনীতির গতি কিছুটা ধীর হয়েছে এবং মধ্যবিত্তের হাতে অর্থের অভাবের কারণে ব্যয় কমেছে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য সরকার কর সংস্কারের কথা বিবেচনা করছে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সরকার ব্যয় বৃদ্ধি এবং অর্থনীতিতে গতি আনার জন্য আয়কর হ্রাসের কথা বিবেচনা করছে।
১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয় করমুক্ত করার বিষয়ে বিবেচনা
বর্তমান কর ব্যবস্থার অধীনে ১০ লক্ষ টাকার বেশি বার্ষিক আয়কারীদের ৩০% কর দিতে হয়। সরকার ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়কে করমুক্ত করার কথা বিবেচনা করতে পারে। এর ফলে মধ্যবিত্তের সুবিধা হবে এবং ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে।
নতুন কর ব্যবস্থার উপর ফোকাস হতে পারে
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ২০২০ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে নতুন কর ব্যবস্থার সূচনা করেছিলেন, যেখানে করের হার কম, কিন্তু বিনিয়োগ বা হোম লোন ইত্যাদির উপর কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায় না। প্রথমদিকে এই নতুন ব্যবস্থার প্রতি করদাতাদের তেমন আগ্রহ ছিল না, কিন্তু এখন এর অধীনে আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার এটিকে আরও আকর্ষণীয় করার জন্য কিছু পরিবর্তন আনতে পারে।
নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে
এখন প্রায় ৭২% করদাতা নতুন কর ব্যবস্থার অধীনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করছে। এই ব্যবস্থায় কর কম হওয়ার ফলে মানুষের বেশি লাভ হচ্ছে। অন্যদিকে, পুরাতন কর ব্যবস্থার অধীনে যারা কর बचत করার জন্য হোম লোন বা অন্যান্য বিনিয়োগ করেছেন।
সরকার কি ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত করতে পারে?
আয়কর বিভাগের তথ্য থেকে স্পষ্ট যে সরকার সবচেয়ে বেশি রাজস্ব পায় যাদের বার্ষিক আয় ১০-১৫ লক্ষ টাকার বেশি। এই অবস্থায় সরকার ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত করার কথা বিবেচনা করতে পারে। এই পদক্ষেপের ফলে মধ্যবিত্তের সুবিধা হতে পারে এবং অর্থনীতিবিদরা সরকারকে ১০-১৫ লক্ষ টাকার কর স্ল্যাবেও কর হ্রাস করার পরামর্শ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপের ফলে মানুষের হাতে অর্থ বেশি থাকবে যা ব্যয় এবং অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে।