আইসিসি তাদের সর্বশেষ ব্যাটিং র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে, যেখানে ইংল্যান্ডের ওপেনার বেন ডাকেট এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান শেই হোপ তাদের অসাধারণ পারফর্ম্যান্সের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন। দুই খেলোয়াড়ই সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক সিরিজে অসাধারণ ফর্ম দেখিয়ে তাদের র্যাঙ্কিংয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছেন।
খেলাধুলার খবর: ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে সম্প্রতি সমাপ্ত তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক সিরিজটি যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য হতাশাজনক ফলাফল এনেছে, তবে কিছু খেলোয়াড়ের জন্য এটি ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত উপকারী হয়েছে। আইসিসি কর্তৃক প্রকাশিত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে ইংল্যান্ডের ওপেনার বেন ডাকেট এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শেই হোপ অসাধারণ উন্নতি করেছেন। যদিও এই দুই খেলোয়াড়ই বর্তমানে শীর্ষ ১০-এ নেই, তবে তারা এখন সেই দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
ইংল্যান্ডের ক্লিন সুইপ
তিন ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে পরাজিত করেছে এবং স্বদেশে একতরফা প্রদর্শন করেছে। এর আগে ওয়ানডে সিরিজেও ইংল্যান্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রতিটি ম্যাচে পরাজিত করেছিল। অর্থাৎ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইংল্যান্ড সফরে ছয়টি ম্যাচের কোনটিতেই জয় পায়নি। তবে, এই ব্যর্থতার পরও ব্যক্তিগতভাবে শেই হোপের মতো ব্যাটসম্যানরা সংগ্রাম এবং ধারাবাহিকতা দেখিয়ে তাদের র্যাঙ্কিং উন্নত করেছে। অন্যদিকে, বেন ডাকেট ব্যাটে আগুন ছুঁড়ে নিজেকে শীর্ষ র্যাঙ্কিংয়ের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।
বেন ডাকেট: ফ্লপ থেকে হিট পর্যন্ত যাত্রা
বেন ডাকেট এই সিরিজের শুরু হতাশাজনকভাবে করেছিলেন। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তিনি মাত্র ১ রান করে আউট হয়েছিলেন। কিন্তু এর পর তিনি দ্বিতীয় ম্যাচে ৩০ রান এবং তৃতীয় ম্যাচে বিস্ফোরক ৮৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। তৃতীয় ম্যাচের এই ধ্বংসাত্মক ইনিংসই তার র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাপক উন্নতি এনেছে। আইসিসি কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, বেন ডাকেট এক ঝটকায় ৪৮ স্থান লাফিয়ে উঠেছেন। যিনি আগে শীর্ষ ৫০-এর বাইরে ছিলেন, তিনি এখন সরাসরি ১৬ নম্বরে পৌঁছে গেছেন। এটি ইংল্যান্ডের যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্য একটি বড় অর্জন বলে মনে করা হচ্ছে।
শেই হোপ: দল হেরেছে, কিন্তু খেলোয়াড় জিতেছে
অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য যদিও এই সফর ভুলে যাওয়ার মতো হয়েছে, তবে শেই হোপ তার ব্যাটিং দিয়ে আশা জাগ্রত রেখেছেন। প্রথম ম্যাচে তিনি মাত্র ৩ রান করেছিলেন, কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৯ এবং তৃতীয় ম্যাচে ৪৫ রান করে তিনি ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন। যদিও তিনি দুটি ম্যাচেই অর্ধশতকের থেকে চুকতে হয়েছে, তবে তার পারফরম্যান্স এতটাই প্রভাবশালী ছিল যে তাকেও আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি পেয়েছে। তিনি এখন শীর্ষ ৩০-এর অত্যন্ত কাছে পৌঁছে গেছেন এবং যদি তার ফর্ম এভাবেই থাকে, তবে তিনি শীঘ্রই শীর্ষ ২০-তেও প্রবেশ করতে পারেন।
ইংল্যান্ডের জন্য এই সিরিজটি ভবিষ্যতের প্রস্তুতির দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিশেষ করে বেন ডাকেটের মতো তরুণ ব্যাটসম্যানের উত্থান দলের গভীরতা প্রকাশ করে। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা যে তাদের তাদের কৌশল এবং সংমিশ্রণের উপর পুনর্বিবেচনা করা উচিত।