দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ইংল্যান্ড ভারতের সামনে ৩০৫ রানের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ইংল্যান্ডের দল ৪৯.৫ ওভারে ৩০৪ রানে অলআউট হয়েছে। ভারতের হয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন সেরা বোলিং করে ৩ উইকেট পেয়েছেন।
খেলাধুলার খবর: ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাটিং করে ৩০৪ রান করেছে। জো রুট এবং বেন ডাকেট ইংল্যান্ডের হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন, যেখানে রুট ৬৯ রান করেছেন এবং বেন ডাকেটও ভালো শুরু করেছেন। নাগপুরে ব্যর্থতার পর কটকে রুট তার ফিফটি করেছেন। শেষ পর্যন্ত লিয়াম লিভিংস্টোন তীব্র ব্যাটিং করে ইংল্যান্ডকে ৩০০ রানের গণ্ডি পেরোতে সাহায্য করেছেন।
ভারতের হয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন চমৎকার বোলিং করে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংসকে থামিয়ে দিয়েছেন। এখন ভারতকে জয়ের জন্য ৩০৫ রান করতে হবে, যা একটি চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য হবে।
ইংল্যান্ডের শুরু ছিল দুর্দান্ত
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জোস বাটলার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ওপেনার ফিল সল্ট এবং বেন ডাকেট ইংল্যান্ডকে দুর্দান্ত শুরু দিয়েছিলেন এবং তাদের মধ্যে ৮১ রানের জুটি হয়েছিল। তবে, সল্ট ২৬ রানে আউট হয়ে যান, এবং তার পর ডাকেটও ৬৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
হ্যারি ব্রুক ভালো শুরু পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি ৩১ রানের ব্যক্তিগত স্কোরে বড় স্কোরে রূপান্তর করতে পারেননি। এরপর জোস বাটলার এবং জো রুট জুটি গড়ে ইংল্যান্ডের স্কোর বাড়িয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫১ রানের অর্ধশতকীয় জুটি হয়েছিল, যা ইংল্যান্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এ সময়, জো রুট একটি দুর্দান্ত অর্ধশতক করে ইংল্যান্ডকে শক্তি দিয়েছেন।
ভারতীয় বোলাররা শেষ ওভারগুলিতে দেখিয়েছেন তাদের দক্ষতা
ইংল্যান্ড ৪০তম ওভার পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩০ রান করেছিল এবং জো রুট ক্রিজে ছিলেন। এ সময় মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ড ৩৫০ রানের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে, কিন্তু ৪৫তম ওভারের মধ্যে ইংল্যান্ড আরও ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রানে এসে পৌঁছে। লিয়াম লিভিংস্টোন এক প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যান, কিন্তু অন্য প্রান্ত থেকে উইকেট পড়তে থাকে।
শেষ ১০ ওভারে ভারত ৭৪ রান দিয়েছে, কিন্তু ভারতীয় বোলাররা ক্রমাগত চাপ বজায় রেখে ইংল্যান্ডের বাকি সব ৬ উইকেট নিয়ে নেয়। এভাবে, নির্ধারিত ৫০ ওভারে ইংল্যান্ডের দল সম্পূর্ণরূপে অলআউট হয়েছে, এবং ভারত ৩০৫ রানের লক্ষ্য পেয়েছে।
