স্কুলে স্মার্টফোন নিষেধ নয়: দিল্লি হাইকোর্টের গুরুত্বপূর্ণ রায়

স্কুলে স্মার্টফোন নিষেধ নয়: দিল্লি হাইকোর্টের গুরুত্বপূর্ণ রায়
সর্বশেষ আপডেট: 04-03-2025

বিশ্বের অনেক দেশেই যেখানে স্কুলে স্মার্টফোন নিষিদ্ধ, সেখানে ভারত ভিন্ন পথে চলছে বলে মনে হচ্ছে। দিল্লি হাইকোর্ট একটি বড়ো সিদ্ধান্ত দিয়ে বলেছে যে, স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের স্মার্টফোন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা যাবে না। আদালত এটাও মেনে নিয়েছে যে, স্মার্টফোন ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখার পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
 
স্কুলে স্মার্টফোন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা যাবে না – আদালত
 
দিল্লি হাইকোর্ট তাদের রায়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, নীতিগতভাবে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে স্মার্টফোন নিয়ে যাওয়া থেকে বিরত রাখা যাবে না। তবে, এর ব্যবহার নিয়ে নিয়ম তৈরি করা যেতে পারে।
 
আদালতের রায়ের প্রধান দিকগুলি
 
• ক্লাসরুমে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।
• ছাত্রছাত্রীদের স্মার্টফোন একটি নিরাপদ স্থানে রাখার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে, যা তারা বাড়ি যাওয়ার সময় ফিরে নিতে পারে।
• সাধারণ এলাকা এবং স্কুল বাসে ক্যামেরা এবং রেকর্ডিং বৈশিষ্ট্য ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকা উচিত।
• ছাত্রছাত্রীদের স্মার্টফোনের নৈতিক ব্যবহার শেখানো হোক।
• হাইকোর্ট স্কুলগুলিকে ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্বশীল অনলাইন আচরণ শেখানোর উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছে।
 
আদালত কী বলেছে?
 
• ছাত্রছাত্রীদের ডিজিটাল নীতিশাস্ত্র এবং অনলাইন শিষ্টাচার সম্পর্কে সচেতন করা হোক।
• স্ক্রিন টাইম কমানো, সাইবার বুলিং থেকে রক্ষা পাওয়া এবং ডিজিটাল আসক্তি থেকে দূরে থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হোক।
 
বিশ্ব থেকে ভিন্ন ভারতের সিদ্ধান্ত
 
যেখানে ভারত স্কুলে স্মার্টফোনের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধানের পথ বেছে নিয়েছে, সেখানে বিশ্বের অনেক দেশেই এতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
 
বিশ্বে স্মার্টফোন নিষেধাজ্ঞার নিয়মাবলী
 
• সুইডেনে ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের স্ক্রিন ব্যবহারের অনুমতি নেই, এবং কিশোর-কিশোরীদেরও সীমিত সময়ের জন্যই স্ক্রিন ব্যবহারের ছাড় রয়েছে।
• আমেরিকাতেও স্কুলে ফোন ব্যবহার নিয়ে কঠোর নিয়ম তৈরির ব্যাপারে বিবেচনা করা হচ্ছে।
• ইতালিতে মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য ফোন নিষিদ্ধ।
• ফ্রান্সে ২০১৮ সাল থেকেই স্কুলে মোবাইল ফোন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
 
ভারতের এই সিদ্ধান্ত ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তির সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহারকে মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে। এখন দেখার বিষয় হলো এই নীতি কতটা সফল হবে এবং স্কুলগুলি এটি বাস্তবায়নের জন্য কী ধরণের পদক্ষেপ নেয়।

Leave a comment