দিল্লিতে শীতের আগমন: আবহাওয়ার পূর্বাভাস

দিল্লিতে শীতের আগমন: আবহাওয়ার পূর্বাভাস
সর্বশেষ আপডেট: 11-02-2025

আজ, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ থেকে দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায় হালকা শীতের প্রভাব অনুভূত হবে। সকাল ও সন্ধ্যায় হালকা শীতের অনুভূতি হবে, যা আবহাওয়ার পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (IMD)-এর মতে, ১৮ নভেম্বর থেকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

আবহাওয়া: দিল্লিতে ধুলোবালি ও স্মগের মধ্যে আবহাওয়া পরিবর্তন শুরু হয়েছে। সকাল ও সন্ধ্যায় হালকা শীতের অনুভূতি হচ্ছে, তবে দিনের বেলায় হালকা উষ্ণতা এখনও অনুভূত হতে পারে। বায়ু দূষণ ও স্মগের কারণে সকালে দৃশ্যমানতা কমে যাচ্ছে, যা মানুষের জন্য অসুবিধার কারণ হতে পারে। আবহাওয়া বিভাগের মতে আজ এবং আগামীকাল দিল্লির অনেক এলাকায় আকাশ পরিষ্কার থাকবে, তবে কিছু এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ১৮ নভেম্বর থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে, যার ফলে শীতের প্রভাব বাড়ার আশা করা হচ্ছে।

উত্তরাখণ্ডে আবহাওয়ার কেমন থাকবে?

দেশের অনেক এলাকায় শীত আগমন করেছে এবং মানুষ গরম কাপড় বের করতে শুরু করেছে। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ সহ অন্যান্য রাজ্যে তাপমাত্রা হালকা কমেছে। তবে, আবহাওয়া বিভাগের মতে এখনও তাপমাত্রা তেমন কমেনি। পরবর্তী সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে শীতের প্রভাব তীব্র হতে পারে।

উত্তরাখণ্ডেও ধীরে ধীরে শীত বাড়ছে, তবে এখনও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি রয়েছে। আবহাওয়া শুষ্ক এবং দূষণের মাত্রা বাড়ছে। আবহাওয়া বিভাগ পরবর্তী তিন দিনের জন্য ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করেছে, বিশেষ করে সমভূমি এলাকায়। দেহরাডুনে সকাল ও সন্ধ্যায় কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, পরবর্তী সপ্তাহেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই, যার ফলে শীত এবং দূষণের প্রভাব বাড়তে পারে।

ইউপিতে শীতের আগমন

উত্তরপ্রদেশে আবহাওয়া দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং শীতের প্রভাব বাড়ছে। লখনউ সহ অনেক এলাকায় হঠাৎ শীত অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, তরাই অঞ্চলে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে, যার ফলে সকাল ও সন্ধ্যায় দৃশ্যমানতা কমে যাচ্ছে। বহরাঈচ, সীতাপুর, বারেলি, বারাবঙ্কি ও গোন্ডা জেলায় আগামী কয়েকদিন কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

গ্রামাঞ্চলেও শীতের প্রভাব স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, যেখানে মানুষ গরম কাপড় ও আগুনের আশ্রয় নিচ্ছে। আবহাওয়া বিভাগ অনুমান করেছে যে আগামী দিনগুলিতে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে, যার ফলে শীত আরও বাড়বে।

রাজস্থানে মানুষ কম্বলের আশ্রয় নিয়েছে

রাজস্থানে শীতের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তাপমাত্রা ক্রমাগত কমার কারণে শীতের তীব্রতা বাড়ছে। দিনের বেলায় অনেক শহরে তীব্র রোদ থাকলেও, রাত হলেই শীত অনুভূত হয়, যার ফলে কম্বলের প্রয়োজন হচ্ছে। উত্তর রাজস্থানের অনেক জেলায় গত চার দিন ধরে ক্রমাগত কুয়াশা পড়ছে। শনিবার ও রবিবার চুরু, হনুমানগড় ও শ্রীগঙ্গানগর জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সকালে কুয়াশার সাথে ঠান্ডা বাতাস বইছে, যার ফলে শীতের প্রভাব আরও বেড়েছে। এই কারণে মানুষ দিনের তুলনায় রাত ও সকালে বেশি শীতের সম্মুখীন হচ্ছে।

Leave a comment