মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নির্বাচনে ভোটদানের জন্য নাগরিকত্ব প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক হবে। পারদর্শিতা বৃদ্ধির জন্য ট্রাম্প একটা নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন, যার জন্য ডেমোক্রেট ও ভোটাধিকার সংগঠন সমালোচনা করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমাগত গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যার অধীনে মার্কিন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই আদেশ অনুযায়ী, এখন থেকে ফেডারেল নির্বাচনে ভোটদানের জন্য মার্কিন নাগরিকত্ব বাধ্যতামূলক হবে। এর অর্থ হল ভোটারদের নিবন্ধনের জন্য নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র জমা দেওয়া প্রয়োজন হবে।
ভোটার নিবন্ধনের জন্য নাগরিকত্ব প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক
ট্রাম্পের আদেশ অনুযায়ী, এখন মার্কিন নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধনের সময় তাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ, যেমন পাসপোর্ট বা অন্যান্য সরকারি নথি, জমা দিতে হবে। এছাড়াও, নিশ্চিত করা হবে যে সকল ভোটপত্র নির্বাচন দিবসের মধ্যে নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। ট্রাম্প এই আদেশকে পারদর্শিতা এবং নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার দিকে একটি বড় ধাপ বলে উল্লেখ করেছেন।
নির্বাচনী অনিয়ম রোধের দিকে পদক্ষেপ
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় নিরাপত্তার গুরুতর ঘাটতি রয়েছে। এই আদেশের অধীনে ফেডারেল সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে তাদের ডেটা শেয়ার করবে, যাতে অ-নাগরিকদের শনাক্ত করা যায় এবং ভোটদানে কোনও ধরণের অনিয়ম রোধ করা যায়।
মেইল-ইন ভোটিং নিয়ে ট্রাম্পের কঠোরতা
ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে মেইল-ইন ভোটিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন। তিনি বারবার নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন, যদিও এই দাবীর সমর্থনে এখনও পর্যন্ত কোনও ঠোস প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবুও, নতুন আদেশ অনুযায়ী নিশ্চিত করা হবে যে সকল ভোটপত্র সময়মতো পৌঁছে যাচ্ছে এবং কোনও ধরণের গোলযোগ হচ্ছে না।
আদেশের তীব্র সমালোচনা
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে গণতন্ত্র সমর্থক সংগঠন এবং ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারা। কোলোরাডোর রাজ্য সচিব জেনা গ্রিসওয়াল্ড এটিকে অসংবিধানিক বলে অভিহিত করে বলেছেন যে এটি আইনসম্মত ভোটারদের তাদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা। ভোটাধিকার সংগঠনগুলি মনে করে এই আদেশ ভোটদান প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলবে এবং যোগ্য ভোটারদের জন্য বাধা সৃষ্টি করবে।