রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের প্রচেষ্টায় আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুতিনের সাথে ফোনে কথা বলবেন, যেখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং যুদ্ধের সমাপ্তির দিক নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
Russia Ukraine War: মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ফোনে আলোচনা হবে, যা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের প্রচেষ্টার অংশ। উভয় নেতার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং যুদ্ধের সমাপ্তি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রাম্প এই আলোচনার মাধ্যমে নিজের দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি প্রদর্শন করবেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য নতুন দিকে অগ্রসর হবেন। পাশাপাশি, এটি রাশিয়ার প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে কঠোরতার পরিবর্তনের ইঙ্গিতও হতে পারে।
আলোচনার নিশ্চিতকরণ: ক্রেমলিনের বিবৃতি
কিছুক্ষণ পরে, ক্রেমলিনও এই আলোচনার নিশ্চিতকরণ দিয়েছে এবং বলেছে যে উভয় নেতার মধ্যে আলোচনা মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। তবে, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ বলেছেন যে এখনও আলোচনার বিষয় নিয়ে কিছু বলা তাড়াহুড়ো হবে, কারণ উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে কোনো সুনির্দিষ্ট চুক্তি হয়নি। এই কারণে আলোচনার বিষয় নিয়ে কোনো সার্বজনীন বিবৃতি দেওয়া এখনও যুক্তিসঙ্গত নয়।
মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্কে সম্ভাব্য পরিবর্তন
এই আলোচনা থেকে মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্কে পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে। ট্রাম্প ফ্লোরিডা থেকে ওয়াশিংটনে যাত্রাকালে এয়ারফোর্স ওয়ানে মিডিয়াকে বলেছেন যে, যদি তারা উভয়ে বুঝতে পারেন যে এই আলোচনা থেকে কোনো বড় ফলাফল বেরিয়ে আসতে পারে, তাহলে তারা এ ব্যাপারে পরবর্তীতে সকলকে অবহিত করবেন। ট্রাম্প এটাও বলেছেন যে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের জন্য এখনও অনেক কিছু করার বাকি আছে, কিন্তু তিনি সম্পূর্ণরূপে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পক্ষে।
১২ ফেব্রুয়ারি হয়েছিল আগের আলোচনা
এটি প্রথমবার নয় যখন ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। এর আগে, ১২ ফেব্রুয়ারি উভয় নেতা প্রায় দেড় ঘণ্টা ফোনে আলোচনা করেছিলেন, যার পর বিশ্বজুড়ে, বিশেষ করে ইউক্রেন সমর্থক শিবিরে, ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। এই আলোচনাকে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হয়েছিল। পাশাপাশি, ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ ভিটকফও সম্প্রতি মস্কো সফর করেছেন, যাকে এক প্রকার পুতিনের সাথে ট্রাম্পের আসন্ন আলোচনার প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আগামী দিনে শীর্ষ সম্মেলনের সম্ভাবনা
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি মঙ্গলবারের আলোচনা সফল হয়, তাহলে উভয় নেতা নিকট ভবিষ্যতে একটি শীর্ষ সম্মেলনও আয়োজন করতে পারেন। এই বৈঠক সম্ভবত সৌদি আরবে হতে পারে, যেখানে উভয় দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হতে পারে।
ট্যারিফ নিয়ে ট্রাম্পের বিবৃতি
ট্রাম্প এয়ারফোর্স ওয়ানে মিডিয়ার সাথে আলোচনায় এই ইঙ্গিতও দিয়েছেন যে তিনি তার ট্যারিফ কর্মসূচি ২ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়াতে পারেন। এই সিদ্ধান্ত তিনি শেয়ার বাজারে নেতিবাচক প্রভাব এবং অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন বিবেচনা করে নিয়েছেন।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের উদ্বেগ
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে পুতিন কেবল ট্রাম্পকে আড়ম্বরপূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন, যখন রুশ সেনাবাহিনী তাঁর দেশের উপর অবিরাম আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। জেলেনস্কি বলেছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই সংঘাত দ্রুত সমাপ্ত করাকে তাঁর প্রাথমিক অগ্রাধিকার বানিয়েছেন, কিন্তু এর জন্য মার্কিনিকে তাদের প্রাক্তন সহযোগীদের সাথে সম্পর্কে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে হতে পারে।