ট্রাম্পের হুমকির জবাবে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির হুঁশিয়ারি

ট্রাম্পের হুমকির জবাবে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির হুঁশিয়ারি
সর্বশেষ আপডেট: 01-04-2025

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে পারমাণবিক চুক্তি না করলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়ার পর, ইরান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি আমেরিকা বা ইসরায়েল হামলা করে, তাহলে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে বাধ্য করা হবে।

তেহরান: আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে পারমাণবিক চুক্তি না করলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়ার পর, ইরান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, যদি আমেরিকা বা ইসরায়েল হামলা করে, তাহলে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে বাধ্য করা হবে। এই বক্তব্য ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই-এর প্রধান উপদেষ্টা আলি লারিজানি দিয়েছেন।

লারিজানি রবিবার (৩১শে মার্চ) সরকারি টেলিভিশনে বলেছেন, "আমরা পারমাণবিক অস্ত্রের দিকে এগোচ্ছি না, কিন্তু যদি কেউ আমাদের উপর হামলা করে, তাহলে আমাদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের এই পথে যেতে বাধ্য করা হবে।" তিনি বলেছেন ইরান কোনও সামরিক পদক্ষেপের কঠোর প্রতিবাদ করবে এবং যদি আমেরিকা বা ইসরায়েল হামলা করে, তাহলে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পদক্ষেপ নিতে পারে, কারণ তাদের আর কোনও বিকল্প থাকবে না।

ট্রাম্পের হুমকি এবং ইরানের অস্বীকৃতি

২৯শে মার্চ ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, যদি ইরান পারমাণবিক চুক্তি করতে অস্বীকার করে, তাহলে তিনি ইরানের উপর এমন বোমা হামলা করবেন, যেমনটি তারা আগে কখনো দেখেনি। পাশাপাশি তিনি ইরানকে সেকেন্ডারি ট্যারিফের আওতায় শাস্তি দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের এই বক্তব্যের পর, ইরান সরাসরি আলোচনায় অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে যে, তারা ট্রাম্পের সাথে আলোচনার পরিবর্তে পর্দার আড়ালে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।

ইসরায়েলের উপরও হামলার হুঁশিয়ারি

লারিজানি কেবলমাত্র আমেরিকাকেই নয়, ইসরায়েলকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি আমেরিকা এবং ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির উপর হামলা করে, তাহলে তার গুরুতর পরিণতি হবে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বোমা হামলায় ধ্বংস করা যাবে না এবং এই অবস্থায় ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে বাধ্য হতে পারে।

আমেরিকা এবং ইরানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা

আমেরিকা এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনা কিছুদিন ধরেই বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে যখন থেকে ট্রাম্প ২০১৫ সালে ইরানের সাথে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইরান ট্রাম্পের সাথে সরাসরি আলোচনা করতে অস্বীকার করেছে, কিন্তু তারপরেও উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ইরান আমেরিকা ও ইসরায়েলকে সতর্ক করে দিয়েছে যে, যদি তারা তাদের হুমকি কাজে পরিণত করে, তাহলে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য বাধ্য হবে। এই বিপজ্জনক পরিস্থিতির পর, বিশ্বজুড়ে এই সংকটকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ আরও গভীর হয়েছে।

Leave a comment