ট্রাম্প প্রশাসন ৪১টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে। আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া, কিউবা, উত্তর কোরিয়া সহ ১০টি দেশের ওপর সম্পূর্ণ ভিসা স্থগিতাদেশ জারি হবে, আর অন্যদের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
ট্রাম্প ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা: আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় कार्यकालে অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার প্রশাসন ৪১টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করেছে, যার মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া এবং আরও অনেক দেশ রয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা তিনটি পৃথক শ্রেণীতে প্রযোজ্য হবে, যেখানে কিছু দেশের ওপর সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে, আর কিছু দেশের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত ৪১টি দেশ
আমেরিকার প্রশাসন কর্তৃক প্রস্তুত করা তালিকায় ৪১টি দেশকে তিনটি পৃথক শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। এই শ্রেণীগুলির উপর ভিত্তি করে নিষেধাজ্ঞার পরিধি নির্ধারণ করা হবে।
প্রথম তালিকা: সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
প্রথম তালিকায় আফগানিস্তান, ইরান, সিরিয়া, কিউবা এবং উত্তর কোরিয়া সহ ১০টি দেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই দেশগুলির নাগরিকদের আমেরিকায় আসার উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এর অর্থ হল এই দেশগুলির কোনো ব্যক্তিকেই আমেরিকায় ভিসা জারি করা হবে না।
দ্বিতীয় তালিকা: আংশিক নিষেধাজ্ঞা
দ্বিতীয় তালিকায় পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইরিত্রিয়া, হাইতি, লাওস, মিয়ানমার এবং দক্ষিণ সুদানের মতো দেশ রয়েছে। এই দেশগুলির নাগরিকদের উপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে, যার প্রভাব পর্যটক, ছাত্র এবং কিছু অভিবাসী ভিসার উপর পড়বে। তবে, কিছু ব্যতিক্রমের মাধ্যমে সীমিত সংখ্যক ভিসা জারি করা যেতে পারে।
তৃতীয় তালিকা: ৬০ দিনের সতর্কতা
আমেরিকার তৃতীয় তালিকায় ২৬টি দেশ রয়েছে, যার মধ্যে পাকিস্তান, ভুটান এবং মিয়ানমার অন্তর্ভুক্ত। এই দেশগুলির নাগরিকদের ওপর আমেরিকা আংশিক ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে। তবে, এই দেশগুলির সরকারকে ৬০ দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে যাতে তারা তাদের ভিসা স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে পারে। যদি তারা তা না করে, তাহলে তাদের ওপরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
প্রথম कार्यकालেও ট্রাম্প ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন
এটি প্রথমবার নয় যখন ট্রাম্প প্রশাসন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করেছে। তার প্রথম कार्यकालেও তিনি ৭টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। এখন তার দ্বিতীয় कार्यकालেও তিনি একই নীতি অব্যাহত রাখছেন।
এখনও চূড়ান্ত হয়নি তালিকা
তবে, এই তালিকা এখনও চূড়ান্তভাবে প্রস্তুত হয়নি। ট্রাম্প প্রশাসন ২১শে মার্চের মধ্যে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এবং প্রয়োজন হলে কিছু দেশের নাম তালিকায় যোগ বা বাদ দেওয়া যেতে পারে। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পদক্ষেপ আমেরিকার নিরাপত্তা নীতির অংশ এবং এর উদ্দেশ্য হল সেসব দেশ থেকে ভ্রমণ বন্ধ করা, যাদের স্ক্রিনিং এবং নিরাপত্তা তথ্য অপর্যাপ্ত বলে মনে করা হয়।
অভিবাসনের ওপর আরও কঠোরতার প্রস্তুতি
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রমাগত অভিবাসন নীতি নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এবারও তিনি ক্যাবিনেট সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন যে তারা সেসব দেশের তালিকা প্রস্তুত করবে, যার থেকে ভ্রমণ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে স্থগিত করা যেতে পারে।