কিম জং উনের বোন কিম ইও জং দক্ষিণ কোরিয়ায় আমেরিকার কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি এটিকে উসকানিমূলক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন এবং তীব্র প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
Kim Jong sister attack Trump: উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের বোন কিম ইও জং আবারও আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমায় দেখা দিয়েছেন। তিনি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার সরকারকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। কিম ইও জং বলেছেন, আমেরিকার উসকানিমূলক পদক্ষেপের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে। আসলে, দক্ষিণ কোরিয়ায় আমেরিকার বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ এবং অন্যান্য সামরিক কার্যকলাপে কিম ইও জং ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি ট্রাম্প সরকারের সমালোচনা করে এটিকে সংঘাতের উস্কানিমূলক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।
পরমাণু কর্মসূচীকে যুক্তিসঙ্গত বলে দাবি
কিম ইও জং আমেরিকার এই কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেশের পরমাণু কর্মসূচীকে যুক্তিসঙ্গত বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেছেন, উত্তর কোরিয়া যা করছে তা তার নিজের সুরক্ষার জন্য করছে। আমেরিকার বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস কার্ল ভিনসনের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এটিকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সংঘাতের নীতি বলে অভিহিত করেছেন।
কিম ইও জংয়ের বিবৃতি
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংস্থা কেসিএনএ-র প্রতিবেদনের মতে, কিম ইও জং আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন-
"আমেরিকায় নতুন সরকার গঠনের পর থেকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামরিক উসকানি বেড়েছে। এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত যে পূর্ববর্তী সরকারের শত্রুতাপূর্ণ নীতি অব্যাহত রাখা হচ্ছে। আমেরিকার এই মনোভাব আমাদের পরমাণু কর্মসূচী আরও শক্তিশালী করার যৌক্তিকতা প্রদান করে।"
দক্ষিণ কোরিয়ার তীব্র প্রতিক্রিয়া
কিম ইও জংয়ের এই হুমকির জবাবে দক্ষিণ কোরিয়াও তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিম ইও জংয়ের বিবৃতিকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে, উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু অস্ত্রের প্রতি আসক্তি ত্যাগ করতে হবে কারণ এটি বিশ্বের জন্য হুমকি।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে আমেরিকার বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস কার্ল ভিনসন দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান বন্দরে পৌঁছে গেছে। এটি পরমাণু শক্তিতে চালিত জাহাজ এবং ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরুর পর প্রথমবারের মতো দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে এসেছে।
ট্রাম্প ও কিম জং উনের পুরোনো সম্পর্ক
উল্লেখ্য, ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে পূর্বেও বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। তার প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প কিম জং উনের সাথে ঐতিহাসিক শীর্ষ সম্মেলনও আয়োজন করেছিলেন এবং তাদের সাথে তাঁর ভালো সম্পর্কের কথা বলেছিলেন। ট্রাম্প সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি ভবিষ্যতে আবার কিম জং উনের সাথে আলোচনা করতে পারেন। তবে, উত্তর কোরিয়ার আক্রমণাত্মক নীতি বিবেচনায় এটি দেখার বিষয় যে আমেরিকা পরবর্তীতে কী প্রতিক্রিয়া দেবে।