ফিলিপিন্সের সাবেক রাষ্ট্রপতি রড্রিগো দুতের্তেকে আজ, মঙ্গলবার, ম্যানিলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC)-এর গ্রেপ্তারী পরোয়ানার আলোকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নয়াদিল্লি: ফিলিপিন্সের সাবেক রাষ্ট্রপতি রড্রিগো দুতের্তেকে আজ, মঙ্গলবার, ম্যানিলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC)-এর গ্রেপ্তারী পরোয়ানার আলোকে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দুতের্তের বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের গুরুতর অভিযোগ আছে, যার মধ্যে রয়েছে তার রাষ্ট্রপতি কার্যকালে মাদকদ্রব্য বিরোধী অভিযানে হাজার হাজার মানুষের হত্যার ঘটনা।
ICC-এর পরোয়ানা কেন জারি হয়েছিল?
হংকং থেকে ম্যানিলা ফিরে আসার সময় বিমানবন্দরে নিরাপত্তা সংস্থা কর্মীরা তাকে আটক করে। ICC-এর নির্দেশে এই গ্রেপ্তারি করা হয়, যারা দীর্ঘদিন ধরে চলা তদন্তের পর পরোয়ানা জারি করেছিল। দুতের্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, ২০০৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তার রাষ্ট্রপতি কার্যকালে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হিংসাত্মক অভিযান চালানো হয়েছিল। এই সময় হাজার হাজার মানুষকে পুলিশ ও সরকারি সংস্থা কর্তৃক कथিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
ICC ২০১১ সালের ১ নভেম্বর এই মামলার তদন্ত শুরু করেছিল, যখন দুতের্তে দাভাও শহরের মেয়র ছিলেন। তদন্তটি ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ পর্যন্ত চলে, কিন্তু দুতের্তে তা বন্ধ করার জন্য সম্ভাব্য সব চেষ্টা করেছিলেন। দুতের্তে ICC-এর বৈধতা অস্বীকার করে ২০২৯ সালে ফিলিপিন্সকে ICC থেকে বের করে নিয়েছিলেন, কিন্তু আদালত তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যায়। ২০২২ সালে রাষ্ট্রপতি পদ ত্যাগ করার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ত্বরান্বিত হয়।
দুতের্তের সমর্থকদের প্রতিবাদ
দুতের্তের গ্রেপ্তারের পর তাকে ICC-এর কাছে হাজির করা হবে, যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হত্যা এবং দমনমূলক নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে পারে। যদি দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে তাকে কঠোর শাস্তি হতে পারে। তার গ্রেপ্তারের পর ফিলিপিন্সে তার সমর্থকরা প্রতিবাদ শুরু করেছে। অনেকে এটিকে রাজনৈতিক প্রতিশোধের পদক্ষেপ বলে মনে করছে, অন্যদিকে মানবাধিকার সংস্থা এটিকে ন্যায়বিচারের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে।