জার্মানিতে সংসদ ভেঙে দিলেন রাষ্ট্রপতি, আগাম নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারি

জার্মানিতে সংসদ ভেঙে দিলেন রাষ্ট্রপতি, আগাম নির্বাচন ২৩ ফেব্রুয়ারি
সর্বশেষ আপডেট: 27-12-2024

জার্মানির রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সরকারের পতনের পর সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ ভেঙে দেওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

জার্মান নির্বাচন: জার্মানির রাষ্ট্রপতি ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টেইনমায়ার শুক্রবার এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় দেশের সংসদ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপটি আগাম নির্বাচন করার জন্য নেওয়া হয়েছে এবং এর পরে জার্মানি ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই ঘোষণার পর জার্মানির রাজনৈতিক অস্থিরতা বেড়েছে এবং নতুন নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

সংসদ ভেঙে দেওয়ার কারণ

এই সিদ্ধান্তটি তখন নেওয়া হয়েছিল যখন চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের জোট সরকার ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর আস্থা ভোটে হেরে যায়। এর পরে শোলজের সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে এবং তিনি এখন দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সংগ্রাম করছিলেন। জার্মানির অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বিতর্কিত সিদ্ধান্ত এবং আর্থিক সংকটের কারণে শোলজকে তার সরকারের মধ্যে গুরুতর রাজনৈতিক বিতর্কের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।

সংসদীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু

জার্মানির সংবিধান অনুসারে, সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। রাষ্ট্রপতি স্টেইনমায়ার এই বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য ২১ দিনের সময় নিয়েছিলেন এবং এর পরে তিনি সংসদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রাষ্ট্রপতির এই সিদ্ধান্তের পরে জার্মানি ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, নির্বাচন পূর্ব নির্ধারিত সময়ের সাত মাস আগে অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনে রাজনৈতিক সংকটের প্রভাব

রাষ্ট্রপতি স্টেইনমায়ারের এই সিদ্ধান্তের জার্মানির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর গভীর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সামাজিক নীতি নিয়ে সরকারের মধ্যে বিতর্ক বাড়ছিল। বিশেষ করে, আর্থিক বিষয় নিয়ে জার্মান সরকারের মধ্যে মতভেদ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছিল। চ্যান্সেলর শোলজের সরকারের ওপর প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল যে, তারা দেশের অর্থনীতিকে কীভাবে পুনরুজ্জীবিত করবেন। এর ফলস্বরূপ রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙে দিতে এবং আগাম নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।

Leave a comment