গাজায় সকল সরবরাহ বন্ধ: ইসরায়েলের শর্তে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

গাজায় সকল সরবরাহ বন্ধ: ইসরায়েলের শর্তে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
সর্বশেষ আপডেট: 02-03-2025

ইসরায়েল গাজা পট্টীতে সকল প্রকার জিনিসপত্র ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় শেষ হয়েছে, কিন্তু ইসরায়েল ২০ এপ্রিল পর্যন্ত তা বাড়ানোর পক্ষে সমর্থন করে।

Israel-Gaza: ইসরায়েল গাজা পট্টীতে সকল প্রকার সাহায্য ও সরবরাহ বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেনি, তবে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে যদি হামাস যুদ্ধবিরতির সম্প্রসারণ গ্রহণ না করে, তাহলে তাদের গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।

গাজায় খাদ্য ও মানবিক সরবরাহ বন্ধ

ইসরায়েল সরকার ঘোষণা করেছে যে গাজা পট্টীতে সকল প্রকার জিনিসপত্র ও সরবরাহের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে খাদ্য ও মানবিক সাহায্যও অন্তর্ভুক্ত। তবে, এটা স্পষ্ট করা হয়নি যে সরবরাহ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়েছে নাকি এটি একটি অস্থায়ী পদক্ষেপ।

যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় শেষ

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় শনিবার শেষ হয়েছে, যাতে মানবিক সাহায্য বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এই পর্যায় শেষ হওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে আর কোনো আলোচনা হয়নি।

হামাসের কাছে ইসরায়েলের শর্ত

ইসরায়েল হামাসের কাছে শর্ত দিয়েছে যে যদি তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায়, তাহলে ইসরায়েলের পিছু হটার বিনিময়ে তাদের সকল বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে। তবে, হামাস এখনও পর্যন্ত এই প্রস্তাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

মার্কিন মধ্যস্থতা প্রস্তাবে সম্মতি

ইসরায়েল মার্কিন মধ্যস্থতা প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। এই প্রস্তাবটি প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের পক্ষ থেকে এসেছে, যেখানে রমজান ও পাসওভারের সময় গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।

হামাসকে বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের মতে, এই প্রস্তাবের আওতায় হামাসকে প্রথম দিন অর্ধেক বন্দী মুক্তি দিতে হবে এবং বাকিরা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলে মুক্তি পাবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষা

এখনও পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের পক্ষ থেকে কোনো সরকারি বক্তব্য আসেনি, যারা ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ শান্ত করার জন্য মধ্যস্থতা করছে। এতে এটাও স্পষ্ট নয় যে হামাস এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে কি না।

Leave a comment