চট্টগ্রাম ইস্কন পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে বাংলাদেশের এক আদালত থেকে বড় ধাক্কা লেগেছে। আদালত তাঁর জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে, যার ফলে এই মামলা আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
ঢাকা: বাংলাদেশের এক আদালত হিন্দু সংগঠন ‘সম্মিলিত সনাতনী জোৎ’ এর নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন খারিজ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, প্রায় ১১:৪৫ টায় এই আদেশ দেন। জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার পর তাঁর অনুসারীরা আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে এবং স্লোগান দিতে থাকে।
এই ঘটনা বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বর্ধমান উত্তেজনা এবং ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আরও একটি বিতর্কের রূপ নিতে পারে, বিশেষ করে যখন এই ধরণের মামলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা গ্রেফতারের মুখোমুখি হচ্ছেন।
চিন্ময় প্রভুর জামিন আবেদন খারিজ, ভারত উদ্বেগ প্রকাশ
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার এবং জামিন আবেদন খারিজের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারত সরকার বাংলাদেশের কাছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, এই ঘটনার পর বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক আক্রমণ বেড়ে গেছে। এর মধ্যে রয়েছে তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে আক্রমণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, চুরি, ভাঙচুর এবং মন্দির ও দেবতার অবমাননা সংক্রান্ত বহু ঘটনা।
কখন গ্রেফতার হলেন চিন্ময় প্রভু?
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, বিশেষ করে এই বিষয়টি নিয়ে যে অপরাধীরা মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অন্যদিকে শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের দাবি উত্থাপনকারী একজন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় এ কথাও উল্লেখ করেছে যে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ বেড়েছে এবং এই ঘটনার অপরাধীদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের কাছে আবেদন জানিয়েছে ধর্মীয় নেতা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এবং তাদের অধিকারের সম্মান করার জন্য।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়, যেখান থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রামে হিন্দু সমাবেশের সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে দাস সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
