রাশিয়া ড্রোন আক্রমণে চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রকে লক্ষ্য করেছে, যা বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি এটিকে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, যদিও তেজষ্ক্রিয়তার কোনও ঝুঁকি নেই।
রাশিয়ার ড্রোন আক্রমণ: রাশিয়া ড্রোনের মাধ্যমে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চতুর্থ বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিটকে লক্ষ্য করেছে। এই আক্রমণটি ইতিমধ্যেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া পারমাণবিক কেন্দ্রটিতে হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা রাশিয়ার এই আক্রমণকে বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছেন।
জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভোলোদিমির জেলেনস্কি এই আক্রমণকে সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি রাশিয়ার উপর আন্তর্জাতিক পারমাণবিক নিরাপত্তাবিধি অমান্য করার অভিযোগ এনেছেন। জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তাকে দুর্বল করার চেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবিলম্বে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে
ড্রোন আক্রমণের পর চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রে আগুন লেগেছিল, যা অগ্নি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। তবে, এই ঘটনা সংবেদনশীল পারমাণবিক স্থাপনার নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে।
তেজষ্ক্রিয়তার কোনও ঝুঁকি নেই
আক্রমণের পর বিশেষজ্ঞরা চেরনোবিল কেন্দ্রের তেজষ্ক্রিয়তা স্তর পরীক্ষা করেছেন, যেখানে কোনও অস্বাভাবিক কার্যকলাপ পাওয়া যায়নি। তবে, কেন্দ্রের কর্মকর্তারা ভবিষ্যতে কোনও সম্ভাব্য ঝুঁকির মোকাবেলা করার জন্য অবস্থার উপর নজর রাখছেন।
বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া
রাশিয়ার এই আক্রমণের পর অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমেরিকা এবং ইউরোপীয় দেশগুলি এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছে এবং বলেছে যে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরণের আক্রমণ পারমাণবিক নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং এটি বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।