উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ এবং রাজস্থানকে সংযুক্ত করার একটি অত্যাধুনিক প্রকল্প শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে। ধৌলপুর থেকে আগ্রা পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি গ্রিনফিল্ড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হবে, যা এই তিন রাজ্যের জনগণের জন্য যাত্রাকাল কমিয়ে এবং সহজ করে তুলবে।
নয়াদিল্লি: ধৌলপুর থেকে আগ্রা পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ গ্রিনফিল্ড এক্সপ্রেসওয়ে উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ এবং রাজস্থান – এই তিন রাজ্যকে পরস্পর সংযুক্ত করবে। এই প্রকল্পে ৪৬১২.৬৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে এবং এটি ২০২৫ সালের নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২০২৮ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার আশা করা হচ্ছে। এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ফলে গোয়ালিয়র থেকে আগ্রার দূরত্ব মাত্র দেড় ঘন্টায় কমে যাবে। এর ফলে দিমনি, আবাহ এবং পোর্সা প্রভৃতি এলাকা ব্যাপক উপকৃত হবে।
গোয়ালিয়র থেকে আগ্রার দূরত্ব এখন মাত্র ৯০ মিনিটে!
গোয়ালিয়র এবং আগ্রার মধ্যে দ্রুত ও সুগম যোগাযোগের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৮৮.৪ কিলোমিটার দীর্ঘ গ্রিনফিল্ড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ করছে। এই সড়ক উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ এবং রাজস্থান হয়ে যাবে, যার ফলে তিন রাজ্যই পরিবহন এবং বাণিজ্যিক দিক থেকে উপকৃত হবে। ভারতীয় জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ (NHAI) এই প্রকল্পের জন্য উদয়পুরের একটি কোম্পানিকে নির্মাণ কাজের ঠিকা দিয়েছে। নির্মাণ কাজ ২০২৫ সালের নভেম্বর থেকে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই প্রকল্প ২০২৮ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে।
দিমনি, আবাহ এবং পোর্সার বিশেষ সুবিধা
ছয় লেনের এই এক্সপ্রেসওয়ের জন্য উত্তর প্রদেশের ১৪, রাজস্থানের ১৮ এবং মধ্য প্রদেশের ৩০টি গ্রামের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। সড়কটি গোয়ালিয়রের নিরাওয়ালী চৌরাস্তা থেকে শুরু হবে এবং আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ের সাথে যুক্ত হবে। কোটায় এর সাথে দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে সংযুক্ত করার জন্য ইন্টারচেঞ্জও নির্মিত হবে। এই প্রকল্পে গোয়ালিয়রকে আগ্রার সাথে ইতিমধ্যেই সংযুক্ত জাতীয় মহাসড়ক ৪৪-এর মেরামতও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই এক্সপ্রেসওয়ের ফলে গোয়ালিয়র থেকে আগ্রার দূরত্ব আগের তুলনায় অর্ধেকে নেমে আসবে। বর্তমানে এই যাত্রায় প্রায় তিন ঘন্টা সময় লাগে, কিন্তু এক্সপ্রেসওয়ে সম্পন্ন হওয়ার পরে এই দূরত্ব মাত্র ৯০ মিনিটে কমে যাবে। দিমনি, আবাহ এবং পোর্সা প্রভৃতি গ্রামীণ এলাকা বিশেষ উপকৃত হবে, যেখানকার মানুষদের আগে আগ্রা যাওয়ার জন্য প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হতো। এই যাত্রা এখন মাত্র দেড় ঘন্টায় সম্পন্ন হবে।
৪৬১২ কোটি টাকার ব্যয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা
এক্সপ্রেসওয়েতে মোট ব্যয় ৪,৬১২.৬৫ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এতে অনেক অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যেমন:
- ৪২টি আন্ডারপাস,
- ৮টি বড় সেতু এবং ২৩টি ছোট সেতু,
- ৫টি উঁচু ওয়াইডাক্ট,
- ৬টি ফ্লাইওভার,
- ১টি রেলওয়ে ওভারব্রিজ।
এছাড়াও, নিরাপত্তা ও সুগমতার জন্য এতে জিপিএসভিত্তিক টোল ব্যবস্থা এবং উন্নত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাও স্থাপন করা হবে। এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে চলতে পারবে, যার ফলে সময় এবং অর্থ উভয়ই সাশ্রয় হবে।