শশী থরুর রাহুল গান্ধীর ‘সারেন্ডার’ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ভারতকে পাকিস্তানের সাথে মোকাবিলা করার জন্য কোনো তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন নেই। তিনি সন্ত্রাসবাদের জবাবে শক্তির ভাষা ব্যবহারের কথা বলেছেন।
নয়াদিল্লি: লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ‘সারেন্ডার’ বক্তব্য দিয়ে রাজনীতিতে তীব্র উত্তাপ ছড়িয়ে দিয়েছেন। এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা ও সাংসদ শশী থরুর ওয়াশিংটন ডিসি থেকে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, ভারতকে পাকিস্তানের সাথে কথাবার্তার জন্য কোনো তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন নেই এবং সন্ত্রাসবাদের ভাষার জবাব শক্তির ভাষায় দেওয়া হবে। আসুন জেনে নেই এই বিতর্কের সব দিক বিস্তারিতভাবে।
রাহুল গান্ধীর ‘সারেন্ডার’ বক্তব্য
৩ জুন মধ্যপ্রদেশের এক জনসভায় রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদীর সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, যখন আমেরিকার তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প ভারতের সাথে কথাবার্তা করেছিলেন, তখন মোদী ‘সারেন্ডার’ করেছিলেন। রাহুল গান্ধীর এই বক্তব্যের রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এটিকে দেশ ও সেনাবাহিনীর অপমান বলে উল্লেখ করেছে। বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা বলেছেন যে, এই বক্তব্য সেনাবাহিনীর বীরত্ব ও ভারতের সম্মানের বিরুদ্ধে। তাঁর বক্তব্য, কোনো পাকিস্তানি যদি এমন কথা বলে তাহলেও তা ঠাট্টা হবে, কিন্তু দলের একজন শীর্ষ নেতা থেকে এমন বক্তব্য দেশদ্রোহিতার শামিল।
শশী থরুরের পাল্টা জবাব
শশী থরুর, যিনি বর্তমানে ভারতের আউটরিচ মিশনের নেতৃত্ব দিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে আছেন, রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, যতক্ষণ পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের ভাষা ব্যবহার করবে, ভারতকেও সেই ভাষায় জবাব দিতে হবে। থরুর স্পষ্ট করে বলেছেন যে, ভারতকে পাকিস্তানের সাথে কথাবার্তার জন্য কোনো তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেছেন, "যদি পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নেয় এবং দেখায় যে তারা ভারতের সাথে স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়, তাহলে আমরা কথাবার্তার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু এর জন্য আমাদের কোনো মধ্যস্থতাকারীর প্রয়োজন হবে না।" থরুরের মতে, ভারত সবসময় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখিয়েছে এবং যদি পাকিস্তানও তাই করে, তাহলে ভারত থেমে থাকবে।
শশী থরুর আমেরিকার প্রতি সম্মান প্রকাশ
শশী থরুর আরও বলেছেন যে, ভারত ও আমেরিকার মধ্যে গভীর সম্মান ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে। ভারত আমেরিকার রাষ্ট্রপতি পদ এবং আমেরিকার ভূমিকার সম্মান করে। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, ভারত কাউকে মধ্যস্থতা করার জন্য অনুরোধ করেনি এবং এই সম্পর্ক কোনো বিতর্কের কারণে প্রভাবিত হওয়া উচিত নয়।