থারুরের নেতৃত্বে পানামায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ভূমিকা উন্মোচন

থারুরের নেতৃত্বে পানামায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ভূমিকা উন্মোচন
সর্বশেষ আপডেট: 29-05-2025

শশী থারুরের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধিদল পানামায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে ভূমিকা উন্মোচন করেছে। তারা ভারতের শূন্য সহনশীলতা নীতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সমর্থন চেয়েছে।

শশী থারুর: পানামা সফরে যাওয়া কংগ্রেসের সাংসদ শশী থারুর একটি বড় বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, এখন ভারত মহাত্মা গান্ধীর দেশ হওয়া সত্ত্বেও সন্ত্রাসবাদের ঘটনায় অন্য গাল বাড়িয়ে দেবে না। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্র নিয়ে খোলাখুলিভাবে কথা বলে তিনি বলেছেন যে, ভারত এখন প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলার জবাব দেবে। পানামায় ভারতীয় দূতাবাসের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করে থারুর ভারতের কঠোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং বলেছেন যে, এখন দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার শূন্য সহনশীলতা নীতিতে দৃঢ়ভাবে অটল থাকবে।

গান্ধীর দেশের সহনশীলতার সীমাও শেষ

থারুর তার বক্তব্যে মহাত্মা গান্ধীর শিক্ষার উল্লেখ করে বলেছেন যে, গান্ধীজী সবসময় অহিংসার কথা বলেছেন, কিন্তু আজকের ভারত দুর্বল নয়। এখন আমরা আর চুপ করে বসে থাকব না। যদি কেউ হামলা করে, তাহলে ভারত তার কড়া জবাব দেবে। তিনি বলেছেন যে, ভয় থেকে মুক্ত থাকাই সত্যিকারের স্বাধীনতা, এবং আমরা সেই ভয়কে আর আমাদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে দেব না।

পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র উন্মোচিত

শশী থারুর তার বক্তৃতায় পাকিস্তানের উপর সরাসরি আক্রমণ করে বলেছেন যে, সম্প্রতি ঘটা পালগাম সন্ত্রাসী হামলার উদ্দেশ্য ছিল ভারতকে দুর্বল করা। তিনি বলেছেন যে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং ISI ক্রমাগত ভারতের কাশ্মীরের বর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তি এবং পর্যটন ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। থারুর জানিয়েছেন যে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আসল মুখোমুখি হয়েছে যখন অভিযানের সময় নিহত সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে পাকিস্তানের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এমনকি, এর মধ্যে কয়েকজনের নাম জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার তালিকায়ও রয়েছে।

ভারতের অভিযানেও পাকিস্তানের কলঙ্ক উন্মোচিত

থারুর বলেছেন যে, যখন ভারত সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়েছে, তখন পাকিস্তান বলেছে যে, এর সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে পাকিস্তানের সেনা ও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সব কিছু স্পষ্ট করে দিয়েছে। থারুর বলেছেন যে, আপনি সেইসব মানুষের জন্য শোক প্রকাশ করতে পারেন না যাদের আপনি চিনেনই না, স্পষ্টতই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবাদীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে।

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য

থারুর বলেছেন যে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্য কাশ্মীরের অর্থনীতিকে দুর্বল করা। তিনি জানিয়েছেন যে, কাশ্মীরের পালগাম এখন এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, সেখানে কোলোরাডোর এস্পেনের চেয়েও বেশি পর্যটক আসে। পাকিস্তান এটা হজম করতে পারছে না এবং তাই কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্র করছে।

গান্ধীর দেশ এখন আর চুপ করে বসে থাকবে না

শশী থারুর পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, মহাত্মা গান্ধীর দেশ হওয়ার অর্থ এই নয় যে, আমরা কোনো সন্ত্রাসী হামলার সামনে চুপ করে থাকব। এখন যদি কোনো হামলা হয়, তাহলে আমরা তার জবাব দেব। তিনি বলেছেন যে, ভারত এখন আত্মরক্ষার অধিকার পুরোপুরি দৃঢ়তার সাথে প্রয়োগ করবে এবং সন্ত্রাসবাদীদের তাদের কাজের শাস্তি দেবে।

বিদেশী মঞ্চ থেকে পাকিস্তানকে কড়া জবাব

থারুর বলেছেন যে, ভারত এখন বিশ্বকে এই স্পষ্ট বার্তা দিতে চায় যে, আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছি। তিনি বলেছেন যে, ভারত তার ভূমিতে সন্ত্রাসের কোনো খেলা চলতে দেবে না এবং প্রয়োজন হলে প্রতিটি হামলাকারীকে জবাব দেবে। থারুর বলেছেন যে, এখন ভারতের নতুন আত্মবিশ্বাস পুরো বিশ্ব দেখছে।

বিদেশী নেতাদেরও দেখানো হয়েছে পাকিস্তানের আসল চেহারা

এই বহুদলীয় প্রতিনিধিদলে থারুর ছাড়াও অন্যান্য সাংসদও ছিলেন, যেমন শামভি চৌধুরী (লোক জনশক্তি পার্টি), সরফরাজ আহমদ (ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা), জিএম হরিশ বালিয়াগি (তেলুগু দেশম পার্টি), শশাঙ্ক মণি ত্রিপাঠী, তেজস্বী সূর্য, ভুবনেশ্বর কলিতা (বিজেপি), মল্লিকার্জুন খড়গ (শিবসেনা), আমেরিকায় ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত তারণজিৎ সিং সান্ধু এবং শিবসেনার সাংসদ মিলিন্দ দেওড়া।
এরা সবাই মিলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের আসল চেহারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে। থারুর জানিয়েছেন যে, এখন ভারত পাকিস্তানের মিথ্যা বক্তব্য এবং সন্ত্রাসের খেলা প্রতিটি পর্যায়ে উন্মোচন করবে।

Leave a comment