পদ্মশ্রী সম্মানিত ১২৯ বছর বয়সী যোগাচার্য স্বামী শিবানন্দের লখনউতে মৃত্যু হয়েছে। চার দিন আগেও তিনি সুস্থ ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছেন।
UP News: ১২৯ বছর বয়সী যোগাচার্য এবং পদ্মশ্রী সম্মানিত স্বামী শিবানন্দের শনিবার লখনউতে মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুতে শুধুমাত্র তাঁর অনুসারীরা নয়, সমগ্র দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বামী শিবানন্দের মৃত্যু হয়েছে BHU হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। চার দিন আগেও তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ও সক্রিয় ছিলেন। তার বয়স ছিল ১২৯ বছর, এবং তিনি যোগের মাধ্যমে সমাজকে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিক দেখানোর জন্য নিবেদিত ছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ স্বামী শিবানন্দকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছেন
স্বামী শিবানন্দের মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি তার শোকবার্তায় বলেছেন যে স্বামী শিবানন্দ জীর মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি কাশীর বিখ্যাত যোগ গুরু ছিলেন যিনি যোগ সাধনাকে জীবনের লক্ষ্য করে তা জন-জনের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন এবং সমাজকে আত্মউন্নয়ন ও স্বাস্থ্যের পথ দেখিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "স্বামী শিবানন্দের জীবন তপস্যা, সংযম এবং সেবার প্রতীক ছিল, যা সকলের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।"
প্রধানমন্ত্রী মোদীও শোক প্রকাশ করেছেন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও স্বামী শিবানন্দের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, "স্বামী শিবানন্দের জীবন যোগ ও সাধনার প্রতি নিবেদিত ছিল এবং তাঁর অবদান দেশের প্রতিটি প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে থাকবে। যোগের ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল। তাঁর শিবলোক প্রয়াণ কাশীবাসী এবং তাঁর শিষ্যমণ্ডলীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।"
স্বামী শিবানন্দের জীবন: একজন যোগ সাধকের অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা
স্বামী শিবানন্দের জন্ম বাংলাদেশের শ্রীহট্টা জেলার একটি ভূমিপতি ব্রাহ্মণ পরিবারে হয়েছিল। তিনি কাশীর দুর্গাকুণ্ডস্থিত আশ্রমে বসবাস করতেন, যেখানে তাঁর শিষ্যরা দেশ ও বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন।
স্বামী শিবানন্দ তাঁর সম্পূর্ণ জীবন যোগের প্রচার-প্রসারে নিবেদিত করেছিলেন। গত ৩০শে এপ্রিল শ্বাসকষ্টের কারণে তিনি BHU হাসপাতালে ভর্তি হন, যেখানে ৮:৫০ টায় তাঁর শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
স্বামী শিবানন্দের পদ্মশ্রী সম্মান যাত্রা
স্বামী শিবানন্দ জীকে ২০২২ সালে ভারত সরকার যোগের ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেছিল। তাঁর জীবন একটি অনুপ্রেরণার উৎস ছিল, এবং তাঁর অনুসারীরা তাঁর শিক্ষার অনুসরণ করে যোগ ও সাধনার পথে চলার চেষ্টা করবে। স্বামী শিবানন্দের অবদান সর্বদা স্মরণীয় থাকবে এবং তাঁর জীবন আমাদের আত্মবিশ্বাস, সেবা এবং যোগের গুরুত্ব বুঝতে সাহায্য করবে।