সুপ্রিম কোর্টে ২০২৫ সালের ওয়াকফ সংশোধনী আইন সংক্রান্ত শুনানি ১৫ এপ্রিল

সুপ্রিম কোর্টে ২০২৫ সালের ওয়াকফ সংশোধনী আইন সংক্রান্ত শুনানি ১৫ এপ্রিল
সর্বশেষ আপডেট: 08-04-2025

২০২৫ সালের ওয়াকফ সংশোধনী আইন সংক্রান্ত আবেদনগুলির উপর সুপ্রিম কোর্ট আগামী ১৫ এপ্রিল শুনানি করতে পারে। এই মামলায় সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বল, অভিষেক মানু সিংহভী এবং নিজাম পাশা দ্রুত শুনানির আবেদন করেছিলেন, যার প্রতি উচ্চ আদালত সম্মতি জানিয়েছে।

নয়া দিল্লি: ২০২৫ সালের ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিতর্কের মঞ্চ তৈরি হয়েছে। এই বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৫টি আবেদন দাখিল করা হয়েছে, যেখানে অনেক প্রধান রাজনীতিবিদ এবং সামাজিক সংগঠন এই আইনকে সংবিধানের মৌলিক অধিকারের বিরুদ্ধে বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এই আবেদনগুলির উপর ১৫ এপ্রিল ২০২৫-এ শুনানি হতে পারে।

শুনানি নিয়ে উচ্চতম ন্যায়ালয়ে আলোড়ন

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সোমবার এই মামলায় জরুরি শুনানির দাবির প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন যে, তাৎক্ষণিক শুনানির জন্য নির্ধারিত পদ্ধতি রয়েছে এবং সেই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কপিল সিব্বল, অভিষেক মানু সিংহভী এবং নিজাম পাশা এই আইনের বিরুদ্ধে দাখিল করা আবেদনগুলির দ্রুত শুনানির জন্য আবেদন করেছিলেন।

যদিও সিজেআই কোনো সরকারি আদেশ জারি করেননি, তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে তিনি আবেদনগুলি তাঁর চেম্বারে পরীক্ষা করবেন এবং তার ভিত্তিতে তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্ত নেবেন।

কোন কোন ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত হয়েছেন?

ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারীদের মধ্যে অনেক রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠন রয়েছে:

১. কংগ্রেস সাংসদ মোহাম্মদ জাভেদ এবং ইমরান প্রতাপগড়ি
২. AIMIM প্রধান অসদুদ্দিন ওয়াইসি
৩. AAP বিধায়ক আমানতুল্লাহ খান
৪. DMK, RJD এবং JDU-র সাথে যুক্ত নেতারা
৫. অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড, জমিয়ত উলেমা, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর প্রোটেকশন অফ সিভিল রাইটস

কী বিতর্ক?

২০২৫ সালে পাশ হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে অভিযোগ উঠেছে যে এটি সম্পত্তির অধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন করে। আবেদনকারীদের দাবি, এই আইন সরকারকে ওয়াকফ সম্পত্তির উপর অত্যধিক নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে এবং এর ফলে মুসলমানদের ধর্মীয় ও সামাজিক অধিকারে হস্তক্ষেপ হয়।

১৫ এপ্রিল সম্ভাব্য শুনানিতে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে যে এই আবেদনগুলি সংবিধান পীঠের কাছে পাঠানো হবে নাকি একক বেঞ্চের অধীনে শুনানি হবে। যদি আদালত এই আবেদনগুলি শুনানিযোগ্য বলে বিবেচনা করে, তাহলে আগামী কয়েক মাসে এই মামলা দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক বিতর্কের একটি হতে পারে।

Leave a comment