শিলং হানিমুন হত্যা মামলায় রাজ কুশওয়াহ প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে গ্রেফতার। পুলিশ ভিক্কি ঠাকুর, আনন্দ এবং সোনম রঘুবংশীকেও গ্রেফতার করেছে। কল ডিটেইলস থেকে ষড়যন্ত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে, তদন্ত এখনও চলছে।
সোনম রঘুবংশী গ্রেফতার: শিলং হানিমুন মামলায় রাজা রঘুবংশীর হত্যায় গোটা দেশ কেঁপে উঠেছে। ইন্দোর ও মেঘালয় পুলিশের যৌথ অভিযানে এই মামলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক উন্মোচিত হয়েছে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন ভিক্কি ঠাকুর, আনন্দ এবং রাজ কুশওয়াহ।
তদন্তে এও উঠে এসেছে যে, রাজ কুশওয়াহ এই পুরো ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এবং তিনি ক্রমাগত সোনম রঘুবংশীর সাথে যোগাযোগে ছিলেন। এই প্রবন্ধে আমরা এই জটিল মামলার সম্পূর্ণ তথ্য বিস্তারিতভাবে বুঝতে পারব।
হত্যার পেছনে ষড়যন্ত্র: কে কী ভূমিকায়?
রাজা রঘুবংশীর হত্যার পেছনে ষড়যন্ত্রটি জটিল এবং পরিকল্পিত। পুলিশ তদন্তে জানা গেছে, প্রথমে আনন্দ রাজার উপর আক্রমণ করেছিলেন। এর পর ভিক্কি ঠাকুর এবং রাজ কুশওয়াহ এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। পুলিশ কল ডিটেইল রেকর্ড (CDR) এর সাহায্যে এই সকল অভিযুক্তদের আলাপ আলোচনা এবং যোগাযোগের সন্ধান পেয়েছে, যার মাধ্যমে মামলার জটিলতা সমাধান করা হচ্ছে।
সোনমের ভূমিকা এবং কল ডিটেইলস
পুলিশ কল রেকর্ডের ভিত্তিতে স্পষ্ট করেছে যে, সোনম রঘুবংশী ক্রমাগত রাজ কুশওয়াহের সাথে যোগাযোগে ছিলেন। এই মামলায় সোনম নিজেই মেঘালয় যাওয়ার জন্য টিকিট বুক করেছিলেন, কিন্তু ফিরতি কোন টিকিট করেননি। এটি ইঙ্গিত করে যে হত্যার ষড়যন্ত্র আগে থেকেই পরিকল্পিত ছিল এবং সোনমের ভূমিকা এই মামলায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তদন্তের সময় সোনম নন্দগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন।
গ্রেফতার অভিযুক্তদের অবস্থা
ইন্দোর পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন রাজ কুশওয়াহ এবং ভিক্কি ঠাকুর, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অন্যদিকে, আনন্দকে শিলং পুলিশ মধ্যপ্রদেশের সাগর থেকে গ্রেফতার করে মেঘালয়ে নিয়ে গেছে। তিনজন অভিযুক্তকে পুলিশ ক্রমাগত জিজ্ঞাসাবাদ করছে যাতে পারস্পরিক ষড়যন্ত্র এবং অন্যান্য জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। পুলিশের মতে এই মামলায় আরও গ্রেফতার হতে পারে।